সমীরণ পাল, কলকাতা: মানবাধিকার রক্ষায় অকুতোভয়, মুক্তিযোদ্ধা রবীন্দ্র ঘোষের কাছে কার্তিক মহারাজ। মৌলবাদীদের রক্তচক্ষুর মুখেও শিরদাঁড়া সোজা রেখে মানবাধিকারে জন্য লড়াই। প্রাণের ঝুঁকি নিয়েও বাংলাদেশে জেলবন্দি সন্ন্যাসীর জন্য লড়াই আইনজীবীর। মুক্তিযোদ্ধা রবীন্দ্র ঘোষ জেলে গিয়ে চিন্ময়কৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি দু দুবার চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের জন্য সওয়াল করেছেন চট্টগ্রাম আদালতে। আগামী ২ জানুয়ারি ঠিক একইভাবে তিনি সওয়াল করবেন।
সাংবাদিক: ২ জানুয়ারি আপনি আবার লড়াই লড়বেন। আজকে কার্তিক মহারাজ আপনার কাছে এসেছেন। কী বলবেন ?
রবীন্দ্র ঘোষ : আশীর্বাদ করতে এসেছে, যাতে করে আমি, লড়তে পারি। আমি লড়বই। প্রাণ তো একদিন যাবে।আমরা সবাই মারা যাব। আমরা তো সবাই বেঁচে থাকবো না। কিন্তু দেখে ছাড়ব, আইনটা কতটুকু পর্যন্ত প্রলম্বিত হতে পারে। কারণ আমি জর্জ সাহেবের সঙ্গে লড়াই করছি। সাহসের সহিত। আমিও তো মরব, এটা আমি জানি। কিন্তু আমরা কাওয়ার্ডের মতো মরব না। মরতে গেলে একেবারে সিংহের মতো মরব।
সাংবাদিক: চিন্ময়কৃষ্ণের সঙ্গে জেলে গিয়ে দেখা করেছেন। আগামী ২ তারিখ , তার জামিনের জন্য সওয়াল করবেন। এবং পরবর্তীতে চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তির জন্য কী চিন্তাভাবনা রয়েছে আপনার ?
আরও পড়ুন, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সূচনা মুখ্যমন্ত্রীর, আজ থেকে টাকা দেওয়া শুরু, কীভাবে মিলবে ?
রবীন্দ্র ঘোষ : অবশ্যই আমরা চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তি করানোর জন্য লড়াই করছি। এখন তো কোর্ট বন্ধ। ডিসেম্বর মাসটা কোর্ট বন্ধ থাকে আমাদের বাংলাদেশে। কোর্ট খুলবে ১ জানুয়ারি। ২ তারিখ মামলার শুনানি। আমি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম চলে যাব। চট্টগ্রামে আমার নিজের বাড়ি। মাস্টারদা সূর্য সেনেরও বাড়ি। শুনেছেন তো ? কীভাবে লড়াই করতে হয়, কীভাবে অধিকার অর্জন করতে হয়, সেটা আমরা ভাল করেই জানি।
সাংবাদিক: দীর্ঘদিন ধরে আপনি মানবধিকার নিয়ে লড়াই করছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, এই বাধা পেয়েছিলেন, এই বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে, বাংলাদেশ নিয়ে কী বলবেন ?
রবীন্দ্র ঘোষ : বাধা পেয়েছিলাম ,এটা ঠিক।আমাকে পুলিশ তো প্রোটেকশন দিয়ে নিয়ে গিয়েছে। আমাকে কেন প্রোটেকশন দিয়ে কোর্টে যেতে হবে ? ! নিশ্চয় মৌলবাদীদের আমার উপরে রাগ রয়েছে ! আমি মৌলবাদী কেন বলছি ? তারা যে কোনও সম্প্রদায়ের হতে পারে। কিন্তু তাঁরা তো আমাদের ধর্মটাকে শেষ করে দেওয়ার জন্য, এরা কিন্তু একত্র হয়েছে।
সাংবাদিক: কেন আপনি মৌলবাদীদের চক্ষুশূল হয়ে উঠছেন ?
রবীন্দ্র ঘোষ : আমি মানবধিকার করি। এর জন্য আমি সব জায়গায় যাচ্ছি। বিশেষ করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রত্যেকটা স্তরে স্তরে আমি যাচ্ছি। তাই ওনাদের চক্ষুশূল হয়ে গিয়েছি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।