সমীরণ পাল, পেট্রাপোল: বাংলাদেশ জুড়ে সেনা-পুলিশের উপর উন্মত্ত জনতার হামলা। অশান্ত ওপার বাংলার রেশ নিয়ে এপারে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। এ প্রেক্ষাপটে এপারে সক্রিয় বিএসএফ। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠকে বিএসএফ। নদিয়া সীমান্তের গ্রামবাসী, রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকও চলে। 


এরই মধ্যে বাংলাদেশের বাগেরহাট থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত ফিরেছেন বিশ্বজিত সাহা। এপারে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বাংলাদেশে নিশ্চিদ্র রাত কাটিয়েছেন তিনি। এবিপি আনন্দের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। ভয়ঙ্কর সেই দিনের কথা প্রসঙ্গে বিশ্বজিত সাহা বলেন, 'কোনমতে জান বাঁচাইয়া আইছি এ দ্যাশে, ফিরলে লাশ হওইয়া যামু। খুবই খারাপ অবস্থা। রাত্রিবেলা প্রচুর লোক এসে খুঁজছে। আমার খোঁজও চালানো হয়। জীবন নিয়ে কোনক্রমে এ দেশে এসেছি। এখানে কিছুদিন থাকব। ওখানে পরিস্থিতি ঠিক হলে ফিরব নয়তো ফিরব না। এখন ওখানে গেলে লাশ হয়ে যাব। আমার নাম লিস্টে দিয়েছে। আমি নাকি আওয়ামি লিগ করি।'                        


ভয়ঙ্কর সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে বিশ্বজিতবাবু বলেন, 'আমার দোকান ছিল। চারিদিকে যখন দেখছি সব আগুনে জ্বলছে। ভয়ে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে এসেছি। গুলি নয় এখন লুঠপাঠ করছে। বাড়ি ছেড়ে আমি বাগানে  লুকিয়ে ছিলাম। এরপরই সীমান্তে পালিয়ে এসেছি'।  



আরও পড়ুন, বাংলাদেশে অশান্তির নেপথ্যে বিদেশী মদত? সর্বদল বৈঠকে বড় প্রশ্ন তুললেন রাহুল


আজও বাংলাদেশে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সীমান্তে। কেউ ওদেশে গিয়ে আটকে পড়েছেন, কেউ আবার ভারতে এসে আর ফিরতে পারছেন না দেশে। ওপার বাংলা থেকে কেউ এসেছিলেন কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে। কেউ আবার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে এদেশে এসেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে সকলেই চাইছেন দ্রুত বাংলাদেশে ফিরতে।                                     


অন্য ছবিও আছে। ওপার বাংলা থেকেও ফিরছেন ভারতীয়রা। সীমান্ত পারাপার করতে গিয়ে সকলেই সমস্যায় পড়ছেন। পেট্রাপোল, গেদে, চ্যাংড়াবান্ধা থেকে শুরু করে মহদিপুর, ফুলবাড়ি, হিলি সব জায়গাতেই উদ্বিগ্ন মুখের ভিড়।   



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে