কলকাতা: প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরও আগুন নেভেনি বাংলাদেশে (Bangladesh News)। থামেনি মৃত্যুমিছিল। একাধিক জায়গায় রাতভর চলেছে সংঘর্ষ, গোলাগুলি। এর মধ্যেই বাংলাদেশজুড়ে চলা কার্ফু তুলে নেওয়া হয় মঙ্গলবার। অফিস-আদালত-স্কুল কলেজ খুললেও উপস্থিতির হার বেশ কম। বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানালেন পরিচালক অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়। 





বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কী জানালেন পরিচালক? 


এদিন তিনি বলেন, "গতকাল ভোর থেকে একটা অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হল। তার আগের থেকে কার্ফু জারি করেছিল অনির্দিষ্টকালের জন্য। তারপর দেখলাম প্রচুর মানুষ রাস্তায় নামতে শুরু করল। দেখলাম সেনাও তেমন তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে না। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বেশ কিছু অরাজকতা হয়েছে। সেটা নিয়ে লোকজন ভয় পেয়ে আছে। অনেক ফোন পাচ্ছি। অনেকেই খোঁজখবর নিচ্ছেন। আমি যেখানে আছি, সেই জায়গায় ঠিক আছি। বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। আবার অনেক গুজবও রটেছে। সারা রাত প্রায় সবাই জেগেছিল। বাইরে তো বেরোতে পারছি না। যা জানতে পারছি সবই লোকজনের থেকে। যেটুকু শুনলাম ভোর থেকে তেমন কোনও অশান্তি নেই। রাস্তাঘাটে গাড়িও চলছে টুকটাক।'' 


নাটোর, কুমিল্লা, খুলনা, চট্টগ্রাম, শেরপুর, নওগাঁ, যাত্রাবাড়ি, রাঙামাটি-সহ একাধিক জায়গায় রাতভর চলেছে সংঘর্ষ, গোলাগুলি। যশোরে আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের হোটেলে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পর্যটক-সহ অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একাধিক জায়গায় থানায় ঢুকে পড়ে উন্মত্ত জনতা। চলে ভাঙচুর, লুঠপাট... আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। কুমিল্লার তিতাস থানার দুই পুলিশ কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হয়। বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলো সূত্রে খবর, মঙ্গলবার যাত্রাবাড়ি থানার সামনে তিন জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে দুজন পুলিশের পোশাকে ও একজনের হাতে হ্য়ান্ডকাফ পরানো ছিল। চট্টগ্রামের পাহাড়তলি থানায় ঢুকে পুলিশ কর্মীদের মারধর করা হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় গাড়িতে। শেরপুর জেলেও হামলা চলে। জেল ভেঙে চম্পট দেয় ৫০০-র বেশি বন্দি, তাদের মধ্যে অন্তত ২০ জন জঙ্গি বলে খবর সূত্রের। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আঁচ পৌঁছেছে নাটোরেও। সাংসদ শফিকুল ইসলামের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভিতরেই ঝলসে মৃত্যু হয় তিন জনের। খুলনার কয়রায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামি লিগের সভাপতি জি এম মহসিন রেজার বাড়িতে ঢুকে পিটিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক মাশরফি বিন মোর্তাজার বাড়িও। প্রথম আলো সূত্রে খবর, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটিতে আওয়ামি লিগের অফিস ভাঙচুরের পাশাপাশি ফেনি, লক্ষ্মীপুরেও আওয়ামি লিগ নেতাদের বাড়ি ও অফিসে হামলা চলে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Bangladesh Update:ঢাকায় তুলকালাম, এখনও অশান্ত বাংলাদেশ, ভারত থেকে চালু বিমান পরিষেবা