কলকাতা : প্রতিবেশী ( Bangladesh Unrest ) দেশ যখন জ্বলছে, তখন ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভারতেরও। বাংলাদেশকে নিয়ে আগামীদিনে কোন পথে এগোবে দেশ? তার প্রাথমিক রূপরেখা ঠিক করতে, মঙ্গলবার সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছিল মোদি সরকার। আর সেখানে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে বিরোধী দলগুলিও। পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূলও জানিয়েছে, তারা যে কোনও সিদ্ধান্তে কেন্দ্রের পাশেই আছে। আর ঠিক এই আবহেই বাংলাদেশের অবস্থা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সেই তৃণনূল- বিজেপি সংঘাত প্রসঙ্গ টেনে আনলেন দিলীপ ঘোষ ( Dilip Ghosh )।  


বাংলাদেশ ইস্যুতে কথা বলেতে গিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করলেন  প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ। তাঁর দাবি, বাংলাদেশে এখন যাঁরা অরাজকতা করছে, হিংসা চালাচ্ছে, তাদেরই মতো একদল যারা ভারতে ঢুকে পড়েছে, তারাই CAA পাস হওয়ার পর  দিকে দিকে আগগুন জ্বালিয়েছিল । লুঠ করেছিল। 


এখানেই থামেননি তিনি। বলেন, 'বাংলাদেশে যারা নৈরাজ্য চালাচ্ছে, তারাই ভোটের পরে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছিল'। তাঁর দাবি, ২০২১ এ বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পরে ভোটপরবর্তী হিংসা চালিয়েছিল এরাই। বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা করেছিল, খুন করেছিল। এদের মতোই লোকজন বিজেপির নেতা-কর্মীদের উপর তৃণমূলের হয়ে হামলা চালিয়েছিল বলে দাবি দিলীপের। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বললেন, 'এরাই এখানে তৃণমূলকে দখল করে নিয়েছে। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ভাবছেন, এরা তাঁর পক্ষেই আছে, তাই মুখ বন্ধ রেখেছেন। ' 


দিলীপের সাবধানবাণী, 'এক দিদি গেছেন, আরেক দিদি হয়তো সেই রাস্তায় হাঁটতে চলেছেন। তৃণমূল ভবিষ্যৎ দেখে রাখুক, এই আগুন থেকে তারাও বাঁচবে না। ' 


প্রতিবেশী দেশের এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগত বিরোধের ঊর্ধ্বে গিয়ে যখন সব দল কেন্দ্রের সঙ্গে থাকার বার্তা দিয়েছে, তখন দিলীপের এই মন্তব্য। তৃণমূলের রাজ্য সভার সাংসদ শান্তনু সেন বললেন, দিলীপ নিজের দলেই গুরুত্ব হারিয়েছেন। এই সময় এই ধরনের মন্তব্য করার জন্য বিজেপি নেতার নিন্দাই করেন শান্তনু। 'দিলীপ ঘোষ বাংলাদেশের এমন স্পর্শকাতর সময়ে বাচালতা করছেন, এই মুহূর্তে এমন মন্তব্য প্ররোচনা দেওয়া', পাল্টা মন্তব্য় কুণাল ঘোষের। 


আপাতত দিল্লিতে আছেন বাংলাদেশের সদ্য পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যদিও নিরাপত্তার স্বার্থে কোনও জায়গা নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি। সূত্রের খবর, বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে ভারত। সেখানকার পরিস্থিতি অস্থির। গতবারের নির্দেশিকা জারির পর বহু ভারতীয় ছাত্র দেশে ফিরে এসেছেন। সূত্রের খবর বৈঠকে আরও জানানো হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে যে ১২ হাজার ভারতীয় রয়েছেন, তাঁরা নিরাপদে আছেন। ইতিমধ্যেই ৮ হাজার ভারতীয় ফিরে এসেছেন।  


আরও পড়ুন :


প্রতিবছর ২ লক্ষেরও বেশি হিন্দু বাংলাদেশ ছাড়েন, এখন কি আরও বিপদের মুখে সে-দেশের হিন্দুরা?