ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন? তারপর দেহ টুকরো টুকরো করা? তারপর দেহাংশ কমোডে ফেলে কি ফ্ল্যাশ করে দেওয়া হয়েছিল? বাংলাদেশের ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ার-উল-আজিম খুনে দেহাংশ উদ্ধারের আগে এমনই প্রশ্ন উঠছিল। ধৃতর বয়ানের ভিত্তিতে নিউটাউনের আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্কে তল্লাশি শুরু করে CID। এবার সেখান থেকেই উদ্ধার হল মানুষের দেহাংশ, চামড়া ও চুল, দাবি সিআইডি সূত্রে।
সিআইডি সূত্রে খবর, এই দেহাংশ ও চুল বাংলাদেশের সাংসদেরই কিনা জানতে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরোটরি বা CFSL-এ পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সাংসদের দেহ বা দেহাংশের খোঁজ শুরু হয়। আবাসনের ভিতরে সুসজ্জিত জলাশয় থেকে সেপটিক ট্যাঙ্ক। আবাসনের নিকাশি পাইপ খুলে নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি এই আবাসনের নিকাশি নালা গিয়ে যে কেষ্টপুর খালে মেশে সেখানেও তল্লাশি চলে।
এই সম্ভাবনার কথা সকালেই জানিয়েছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অ্য়াডিশনাল কমিশনার। হারুন উর রশিদ বলেছিলেন, '৩টে কমোড আছে, যেটার ফ্লাশ করার পরে নিকাশী লাইনটা, এই লাইনটাও ভাঙার জন্য আমরা ওদের অনুরোধ করেছি। আমরা আমাদের মূল ঘাতক এবং এখানকার যে জাহিদ হাওলাদার এরা যে তথ্যগুলি, দুই দেশ থেকে আমরা নিয়েছি, আমরা ক্রশ এগজামিন করেছি। সেখানে তারা যে গাড়িটা ব্যবহার করেছে, কোন রঙের গাড়িটা ব্যবহার করেছে, কে কে ছিল, আমরা তো হুবহু মিল পেয়েছি। আমাদের সেখানে CCTV-তে আমরা কোথা থেকে কোথায় গিয়েছে সেই CCTV তাদের আমরা সকল তথ্য পাচ্ছি। ডিজিটাল এভিডেন্স পাচ্ছি।'
এদিকে, CID সূত্রে খবর, মোট ৪ ব্যক্তির নামে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, টয়লেটে ফ্লাশ করে দেহাংশ লোপাট সাংসদের? উঠে আসছে হাড়হিম করা খুনের তথ্য
এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড, অর্থাৎ বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ার-উল-আজিমের বাল্যবন্ধু মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামান সাংসদের মাথার খুলির টুকরো ভেড়িতে ফেলার দায়িত্ব যার ওপর ছিল বলে তদন্তে জানা গেছে, সেই ফয়জলের পাশাপাশি সিয়ান ও মুস্তাফিজুর নামে দু'জনের নামেও লুকআউট নোটিস জারি হয়েছে।
সূত্রের খবর, এই ৪ জনের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করা হবে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে