সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ওপারে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণে অশান্ত বাংলাদেশ। মৌলবাদীদের হুমকি আর অত্যাচার থেকে বাঁচতে অনেকেই পালিয়ে আসছেন বাংলায়। কিন্তু বিএসএফ-র কাছে ধরা পড়ছেন। এমনই এক আবহে বাংলার মাটিতে মৃত্যু হয়েছে ভাইয়ের। আর প্রাণের ভাইকে শেষ বিদায় জানাতে চান বোনেরা। এই অবধি সব ঠিকই ছিল। কিন্তু ভাই ভারতীয়।  বোনেরা থাকেন ওপারে। তবে বাধ সাধেনি নাগরিকত্বে। তবে এই অশান্তির মধ্যেও মানবিক রূপ দেখা গেল সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর।


 বিএসএফের ৩২ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন বর্ডার ফাঁড়ি মাটিয়াইয়ের কাছে জিরো লাইনে এই ঘটনাটি ঘটেছে। মূলত ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে, যখন সীমান্ত ছুঁয়ে যাওয়া কৃষ্ণগঞ্জের অন্তর্গত বাগানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা, রোমজান মণ্ডলের মৃত্যুর কথা জানান। মৃত ভাইকে শেষ বিদায় জানাতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন, দুই বোন। এদিকে তাঁরা দুজনেই বাংলাদেশের বাসিন্দা। তবে এই অশান্তির আবহেও শোকের মুহূর্তে পাশে থেকেছে সীমান্তরক্ষা বাহিনী। পরিবারের পুনর্মিলনের সুবিধার্থে  সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ নেন বিএসএফ এবং বিজিবি। 


নিহতের বোন ও আত্মীয়দের জন্য আন্তর্জাতিক সীমান্তের জিরো লাইনে প্রয়াত রোমজান মন্ডলের শেষ দর্শনের ব্যবস্থা করেন।  ইতিমধ্যেই মৃতের পরিবার, বিএসএফ এবং বিজিবি সীমান্ত বাহিনীকে কৃজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।বিএসএফ এর দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের   জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, 'বিএসএফ জওয়ানরা শুধু দিনরাত সীমান্ত পাহারা দেয় না, আন্তর্জাতিক সীমান্তে বসবাসকারী মানুষের মানবিক ও সামাজিক চাহিদা মেটাতেও প্রস্তুত থাকে।'


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। পরিবার ইসকনের ভক্ত  (ISKCON), বাংলাদেশে সেটাই অপরাধ।  তাই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছিল মৌলবাদীরা। বাংলাদেশে অত্যাচারের ভয়ে সম্প্রতি নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে অসুস্থ মা-বাবাকে ফেলেই ভারতে আশ্রয়ের খোঁজে এসেছিল বছর ১৫-র কিশোরী। তবে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার ফতেপুর সীমান্তে তাকে আটক করেছিল BSF. নাবালিকার ভারতীয় আত্মীয়কে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ। জেলা শিশু কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে নাবালিকাকে হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল পুলিশ। বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বাসিন্দা ওই নাবালিকাকে হোমে পাঠানো হয়েছিল।  


মা-বাবার একমাত্র মেয়ে বছর ১৫-র কিশোরী। তার অভিযোগ, পরিবার ইসকনের ভক্ত হওয়ায় তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। প্রাণভয়ে ভারতে চলে আসে ওই নাবালিকা। জলপাইগুড়ির বেলাকোবায় থাকেন ((Jalpaiguri West Bengal )  নাবালিকার আত্মীয়। পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে তিনি চোপড়া থানায় আসেন। তাঁর আত্মীয় জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ও হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছেই। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দ্রুতপদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন নাবালিকার আত্মীয়। 


আরও পড়ুন, ফিরহাদের মন্তব্যে খুব আহত হয়েছি, আমি হলে সরি বলতাম : মদন


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।