কলকাতা: এসএসকেম ইস্যুতে চাকদার বিজেপি বিধায়কের নিশানায় শাসকদল। মূলত দুর্নীতির মামলায় (Corruption) নাম জড়ানোর পর, এসএসকেম-এ একাধিকবার শাসকদলের (TMC) হেভিওয়েটদের ভর্তি হতে দেখা গিয়েছে। নারদ মামলায় (Narad Scam) ফিরহাদ হাকিম ব্যতীত শোভন-মদন-সুব্রতদের (প্রয়াত) অতীতে এই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাহীন হতে দেখা গিয়েছে। এরপর গরুপাচার মামলায় (Cattle Scam) নাম জড়ানোর পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলবের মুখে একাধিকবার বুকে ব্যথা উঠে এসএসকেম-এ যেতে দেখা গিয়েছে বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডলকেও (Anubrata Mandal)। সেই তালিকা থেকে বাদ যাননি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও (Partha Chatterjee)।


'১০ দিনের চেষ্টায় SSKM-এ ভর্তি করা যায়নি BJP নেতাকে'


একেবারে হালের কথা বললে রেশন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam) অভিযুক্ত প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও এই সরকারি হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছিলেন (Jyotipriya Mallick)। এখানেই শেষ নয়, এই তালিকায় 'কালীঘাটের কাকু' তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রও (Sujay Krishna Bhadra)। তবে এবার সেই এসএসকেম-এই উল্টো ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। দশদিন ধরে চেষ্টা সত্ত্বেও বিজেপি নেতাকে এসএকেএম হাসপাতালে ভর্তি করতে না পারার বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ (BJP MLA Bankim Ghosh)। 


'SSKM সরকারি লোকজনের গেস্ট হাউসে পরিণত হয়েছে'


৩৩ বছরের বিজেপি নেতা মিলন বিশ্বাসের সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়। গত দশ দিন ধরে মিলন বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন
হাসপাতালের বিল প্রায় ১০লক্ষ ছুঁইছুঁই বলে দাবি পরিবারের। কিন্তু ২ ডিসেম্বর থেকে চেষ্টা করেও মিলন বিশ্বাসকে এসএসকেএম-এর ভর্তি করা যায়নি বলে দাবি বঙ্কিম ঘোষের। হাসপাতালের সুপার কিংবা কর্তা-ব্যক্তিরা কেউই বিধায়কের সঙ্গে দেখাও করেননি বলে অভিযোগ। হতাশ বিধায়কের মন্তব্য়, 'এসএসকেএম হাসপাতাল সরকারি লোকজনের গেস্ট হাউসে পরিণত হয়েছে। বিধায়কের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাবে কীভাবে ? অথচ জেলে থাকা লোকজন চাইলেই বেড কিংবা আইসিইউ পেয়ে যায়।'


আরও পড়ুন, 'মানিকের নিয়োগ বেআইনি ছিল..', বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হলফনামা UGC-র


প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) ধৃত 'কালীঘাটের কাকু'-কে (Kalighater Kaku) দেখতে এসএসকেএমে ইডি আধিকারিক। SSKM-এর কার্ডিওলজি বিভাগে যান কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিক। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে হাসপাতালে ইডি আধিকারিক। এর আগে 'কাকু'র উপর নজর রাখতে সিআইএসএফের ২ জওয়ানকে রাখা হয়েছিল আইসিসিইউ-এর দরজায়। নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে বলেই খবর।