পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: পোড়া পাহাড়। এই নামেই পরিচয়। আপাতদৃষ্টিতে কোনও বিশেষত্ব চোখে পড়েনি এতদিন। কিন্তু হঠাৎ সেই পাহাড়ই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। সেটাও একটা রহস্যময় গুহা (Cave) ঘিরে। হঠাৎ করেই বাঁকুড়ার (Bankura) খাতরার পোড়া পাহাড়ে খোঁজ পাওয়া গিয়েছে একটি প্রাচীন গুহার। যা এতদিন সেই অর্থে লোকচক্ষুর অন্তরালেই ছিল। যার ফলে নয়া আবিষ্কৃত গুহা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।   
   
এই গুহায় কি কোনও একসময় গুহামানবের (Caveman) বসবাস ছিল। শুরু হয়েছে এমনই নানা জল্পনা। গুহার ভিতরে একাধিক কুঠুরির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। অনেকে মনে করছেন তা বসবাসের যোগ্য। রহস্যময় গুহার শেষ কোথায়, বোঝার উপায় নেই। কি রয়েছে গুহার ভিতরে? আগে কি এই গুহাতে আদিম মানুষ থাকত? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে। 


কেমন দেখতে ওই গুহা?
ইংরেজি অক্ষর ওয়াই (Y) আকৃতির এই গুহা। গুহার মুখ পাহাড়ের উত্তর দিকে। স্থানীয়দের (Locals) সূত্রে দাবি, এই গুহার উচ্চতা ৬ ফুট। গুহাটি চওড়ায় ৪-৫ ফুট। ভিতরে দুই দিকে গুহা ভাগ হয়ে গিয়েছে । বাঁদিকে লম্বা প্রায় ২০০ ফুট। ডানদিকে প্রায় ৬০ ফুট লম্বা গুহাটি। গুহার ভিতরে রয়েছে সাতটি কুঠুরি। কুঠুরি গুলি লম্বায় ২০ ফুট, চওড়ায় ৭ ফুট। 


কী ধারণা:
অনেকেই মনে করছেন, এখানে আদিম মানুষ থাকত। এই কুঠুরিগুলি মানুষের থাকার উপযুক্ত।  এক-একটি কুঠুরিতে এক-একটি পরিবার থাকতে পারত বলে মনে করা হচ্ছে। যেমন আবাসনে থাকেন আধুনিক মানুষ। গুহার অংশে আদিম মানুষেরা থাকত বলে দাবি খাতড়ার সাধারণ বাসিন্দা মধুসূদন মাহাতর।


গুহা ঘিরে পর্যটন ব্যবসার আশা;
মুকুটমণিপুর (Mukutmanipur) থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে পোড়া পাহাড়ের মাঝামাঝি এই গুহাকে ঘরে পর্যটন (Tourism) বাড়ুক, চাইছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, এই গুহার খোঁজ তাঁরা জানলেও বাইরের লোকের এতদিন ছিল অজানা। ঠিক এই বিষয়টির কথা উঠে এসেছে খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডির কথাতেও।


আদৌ কি ওই গুহায় আদিম মানুষের বসবাস ছিল কিনা? তা নিয়ে প্রয়োজন বিস্তর গবেষণার, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। গবেষণার পরে যাই বেরোক। এখন থেকেই ওই গুহা নিয়ে জেলার নানা প্রান্তে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা।  

আরও পড়ুন: সুকান্তের গ্রেফতারির প্রতিবাদে লালবাজারে শুভেন্দু-সহ দলীয় বিধায়করা, নগরপালের সঙ্গে দেখা করার দাবি