প্রসূন চক্রবর্তী, বাঁকুড়া: ডেঙ্গু (Dengue) মোকাবিলায় নামল মেজিয়া ব্লক প্রশাসন।BDO নিজেই নেমে পড়েছেন এই উদ্যোগে। ঝুড়ি,কোদাল হাতে নিয়ে সাফাই অভিযানে নামেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।
ডেঙ্গি মোকাবিলায় তৎপরতা: খাতায় কলমে বর্ষা এসেছে দক্ষিণবঙ্গে। বৃষ্টির তেমন প্রভাব না পড়লেও বর্ষার শুরুতেই ডেঙ্গি আতঙ্ক বঙ্গে। শিল্পাঞ্চলের কারণে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের থেকে তুলনামূলক বেশি মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যায় মেজিয়া ব্লকে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে শিল্পাঞ্চলের সবকটি কলকারখানায়। তাই ভিন রাজ্য থেকে মশাবাহিত রোগের আগমনের আশঙ্কটাও অনেকটাই বেশি। তাই বর্ষার শুরুর মরশুমেই তৎপর হলো মেজিয়া ব্লক প্রশাসন। প্রচার অভিযান চালানোর পাশাপাশি ঝুড়ি ,কোদাল, ঝাড়ু হাতে নিয়ে রাস্তায় দেখা গেল ব্লক প্রশাসনের সব কর্তা ব্যক্তিদের। সঙ্গে আয়োজন ছিল এক সচেতনতামূলক ব়্যালিরও। ব্লক প্রশাসনের দাবি এখনও পর্যন্ত এই রোগের প্রাদুর্ভাব একেবারেই কম।
এর আগে গত মাসে ডেঙ্গির আশঙকা কমাতে নর্দমা পরিষ্কার অভিযান হয় কামারহাটি পুরসভায়। উত্তর ২৪ পরগনার, কামারহাটি পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রান্তিকনগরে নর্দমার ওপরে তৈরি অস্থায়ী ঝুপড়ি ভেঙে দিতে উদ্য়ত হয় পুরসভা। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল নর্দমার ওপরে গড়ে ওঠা অস্থায়ী ঘর, দোকানপাট। পুরসভা সূত্রে খবর পাওয়া যায়, আগেই নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছিল ,বর্ষার সময় নর্দমার ওপর বেআইনি দখলদারির জন্য়, নর্দমার জল আটকে যাচ্ছে। বাড়ছে ডেঙ্গির আশঙ্কা। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। সেই সমস্য়া মেটাতেই তৎপর হয় পুরসভা। তাই নর্দমা সংলগ্ন জায়গা খালি করতে বলা হয়।
বর্ষার হাত ধরে ফিরেছে ডেঙ্গি-আতঙ্ক। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ২৬ জুন পর্যন্ত রাজ্যে ১ হাজার ৩২৮ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গি সবথেকে বেশি থাবা বসিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। গতবছর দাপট দেখিয়েছিল ডেঙ্গি। সেই অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে চলতি বছরে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে লার্ভিসাইড কিনতে ২০ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে রাজ্য সরকার।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: WBCHSE: দু'দফায় একাদশের পরীক্ষা, সেমিস্টারের রুটিন প্রকাশ সংসদের