তুহিন অধিকারী, বিষ্ণুপুর (বাঁকুড়া): এবার রাস্তা সারাইয়ে (Road repairing) উদ্যোগী বিষ্ণুপুর (Nishnupur) পুরসভা। কিন্তু তা নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পুরভোটের আগে জোড়াতাপ্পি দিয়ে রাস্তা মেরামতি করে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। একযোগে এমনটাই অভিযোগ বিজেপি ও কংগ্রেসের। বিরোধীদের পাল্টা কটাক্ষ করেন পুর প্রশাসক।


দুয়ারে কড়া নাড়ছে পুরভোট। যদিও শতাধিক পুরসভায় এখনও ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়নি। এরই মধ্যে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে পুর পরিষেবা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি। সপ্তাহখানেক আগে শহরের কলেজ রোড মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। আর এই সংস্কার ঘিরেই রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন বিরোধীরা। 


বিরোধীদের দাবি, বছরখানেক ধরেই ওই অঞ্চলে বেহাল রাস্তা। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতদিন রাস্তা সারানোর কোনও উদ্যোগ নেয়নি পুরসভা, অভিযোগ বিরোধী শিবিরের।


বিরোধীরা দাবি করেছে, পুরভোটের কথা মাথায় রেখেই রাস্তা সারাইয়ের এই আচমকা তৎপরতা। তড়িঘড়ি জোড়াতাপ্পি দিয়ে রাস্তা মেরামতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। 


বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ সভাপতি নীরজ কুমার বলেন, 'ভোটের দামামা বাজলেই ৫ বছরে এই একবার করে রাস্তায় জোরাতাপ্পি দেওয়া হয়। তৃণমূল আর উন্নয়ন ১৮০ ডিগ্রিতে অবস্থান করে।'


আরও পড়ুন: Habra Municipality: ঘরে ঘরে জলের সংযোগের প্রতিশ্রুতি পুরসভার; ভোটের আগে ভাঁওতাবাজি, কটাক্ষ বিজেপির


অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদক দেবু চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, 'রাস্তায় ঘুণ ধরেছে বহুদিন। সেই ঘুণে এখন আলকাতরা লেপা হচ্ছে। আসলে দুয়ারে ভোট এখন, তাই কাজ দেখানো হচ্ছে।'


বিরোধীদের সমালোচনা অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। বিষ্ণুপুর শহর তৃণমূল সভাপতি সুনীল দাস বলেন, 'এসব কথা বিরোধীদের পাগলামি। রাজ্যে এখন উন্নয়নের বন্যা। বিরোধীরা যাই বলুক আমরা এভাবেই কাজ করে যাব।'


বিষ্ণুপুর পুরসভায় মোট ওয়ার্ড ১৯টি। ২০১৫-র পুরভোটে তৃণমূল ১৭টি ও বিজেপি ২টি ওয়ার্ড দখল করে। যদিও ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ১৬টি ওয়ার্ডে। ৩টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে তুঙ্গে পৌঁছেছে রাজনৈতিক তরজা।