পূর্ণেন্দু সিংহ, তালডাংরা : বাঁকুড়ার (Bankura) তালডাংরায় তৃণমূল (TMC) পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে বিজেপি নেত্রীর স্বামীকে মারধরের অভিযোগ। হাসপাতালে ভর্তি ওই বিজেপি কর্মী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভয় দেখাতে হামলা, দাবি গেরুয়া শিবিরের। পারিবারিক বিবাদের জের, পাল্টা দাবি তৃণমূলের।
তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে এনে বিজেপি কর্মীকে মারধর। এমনই অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার তালডাংরার বিবড়দা এলাকায়। আক্রান্ত গৌতম ঘোষ বিজেপির জেলা সম্পাদক দুর্গা ঘোষের স্বামী। তাঁর অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে বিবড়দায় তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়।
বিজেপি কর্মীর মাথায় চোট ও বাঁদিকের চোখে আঘাত লাগে বলে দাবি। তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এপ্রসঙ্গে বিজেপি কর্মী ও বিজেপি নেত্রীর স্বামী গৌতম ঘোষ বলেন, আমাকে পার্টি অফিসে ডেকে মারধর করেছে তৃণমূলের লোকজন। ৪ বছর ধরে বিজেপি করছি। আচমকা দুমদাম করে মারল। একা ছিলাম। এতদিন ভয় লাগেনি, এবার ভয় লাগছে।
যদিও তালডাংরার বিবড়দার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি প্রবীর ঘোষ বলেন, পুরোটা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। ওঁকে পার্টি অফিসে ডাকা হয়নি। বিজেপি করতে কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি।
এদিকে বিজেপি নেত্রীর স্বামীকে তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে মারধরের অভিযোগ ঘিরে পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় যাতে বিজেপি কর্মীরা সক্রিয় না হয় সেই কারণে হুমকি ভয় দেখানো চলছে.। আজ সেটা চরম মাত্রায় পৌঁছেছে।
যদিও তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটা পারিবারিক ব্যবসা সংক্রান্ত ঝামেলা। এখানে কোনও রাজনীতি নেই। ওদের ভাইয়ে ভাইয়ে ঝামেলা মারপিট আমাদের বদনাম করার চেষ্টা করছে।
তৃণমূল এই ঘটনাকে পারিবারিক বিবাদ বলে দাবি করলেও, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি নেত্রীর স্বামীকে মারধরের অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিবড়দায় চড়ছে রাজনীতির পারদ।