তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বার্তাই কি সার? জয়ী নির্দল প্রার্থীদের জন্য দলের দরজা আজীবন বন্ধ, নবজোয়ার যাত্রার মঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) এই ঘোষণার পরও, জয়ী নির্দল প্রার্থীদের জন্য দরজা খুলে দিলেন তৃণমূলেরই (TMC) বিষ্ণুপুরের বিধায়ক! আর এই ঘটনা নিয়েই একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল, বিষ্ণুপুরের তৃণমূল বিধায়ক তন্ময় ঘোষ এবং তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায়ের দ্বন্দ্ব!


২০২২ সালে বিষ্ণুপুর পুরসভায় নির্বাচন হয়: মোট ১৯টি আসনের মধ্যে তৃণমূল একাই জেতে ১৩টিতে। বিজেপি দুটি, কংগ্রেস একটি এবং তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হন তিনজন। সেই জয়ী তিন প্রার্থী হীরালাল দত্ত, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, এবং দেবজিৎ কুন্ডুকে ২০২২-এর ১৮ ফেব্রুয়ারি দল থেকে বহিষ্কার করেন জেলা সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায়। 


এর প্রায় ১৪ মাস পর, বিষ্ণুপুরে নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে, নির্দল জয়ী প্রার্থীদের দলে ঢোকার রাস্তা আজীবনকালের জন্য বন্ধ বলে মন্তব্য করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এরপর ২১ অগাস্ট হীরালাল দত্ত এবং সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে দলে ফের যোগদান করান বিষ্ণুপুরের তৃণমূল বিধায়ক, তন্ময় ঘোষ। কিন্তু এখবর প্রকাশ্যে আসায়, দলেরই বিধায়ককে নিশানা করেন তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার
সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায়।                                                                                                                                                                        


নির্দলদের দলে (Independent Party) যোগ করানো নিয়ে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। কটাক্ষ করতে দেরি করেনি বিজেপি (BJP)! পুরসভার ভোট হওয়ার পর প্রায় দেড় বছর কাটতে চলল! কিন্তু এখনও দলবদলের প্রক্রিয়া সমানে চলছে যা নিয়ে নিত্যদিন বাঁধছে বিতর্ক!


আরও পড়ুন: North 24 Pargana: চেয়ারম্যান বনাম ভাইস চেয়ারম্যান! টাকি পুরসভায় চরমে শাসকের সংঘাত