পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: রাজ্যে এখনও করোনা আতঙ্ক চলছে। এরই মধ্যে বাঁকুড়ার বোলাড়া গ্রামে থাবা বসাল ডায়রিয়া। জানা গিয়েছে গ্রামে এখনও পর্যন্ত প্রায় চল্লিশ জন আক্রান্ত হয়েছেন এই রোগে। এরমধ্যে চার জনের অবস্থা গুরুতর। হঠাৎ করেই আক্রান্তদের মধ্যে চার জন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে আজ গ্রামে তড়িঘড়ি স্বাস্থ্য দফতরের দল পৌঁছেছে।


এছাড়াও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীরা গ্রামে গিয়ে চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থার আশ্বাস দেন। বাঁকুড়ার ১ নম্বর ব্লকের বোলাড়া গ্রামের নাপিত পাড়ায় মেরেকেটে বসবাস করে পঞ্চাশটি পরিবার। গতকাল সকাল থেকে এই গ্রামে একে একে অসুস্থ হতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। 


ঘন ঘন পাতলা পায়খানা, বমি, পেটে ব্যথা-সহ বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। গ্রামবাসীদের দাবি আজ সকাল পর্যন্ত প্রায় চল্লিশ জন গ্রামবাসীর শরীরে উপসর্গ দেখা দেয়। রাতে চার জন আক্রান্তের অসুস্থতা গুরুতর আকার নেওয়ায় তাদের আঁচুড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। 


গ্রামে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ার খবর পেতেই গ্রামে যায় স্বাস্থ্য দফতরের টিম। আক্রান্ত গ্রামবাসীদের  ও আর এস সহ বিভিন্ন ওষুধ দেওয়া হয়। পরীক্ষার জন্য গ্রামের পানীয় জলের উৎস হিসাবে থাকা দুটি নলকূপের জলের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য দফতর।  পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিন দফায় দফায় গ্রামে যান বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সহ অন্যান্য পদাধিকারীরা। 


প্রাথমিক তদন্তে স্বাস্থ্য দফতরের ধারণা মনসা পুজোয় প্রসাদ খেয়ে বিষক্রিয়ার কারণেই এই ঘটনা। গ্রামবাসীদের দাবি নলবাহিত পরিশ্রুত পানীয় জলের যথেষ্ট কল নেই গ্রামে। অভাবে নলকূপের দূষিত জল খেতে গিয়েই এই বিপত্তি  ঘটেছে।  প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর ও ব্লক প্রশাসন।