কলকাতা: ঝুড়িতে নীল, সাদা, গোলাপি সুতো। 'মেয়ে দেখে বললো - মা, এটা তো স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ভ্যানিলা রাখি'। আজ রাখীবন্ধনের উৎসব। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাখি নিয়ে ছোটবেলার স্মৃতি ভাগ করে নিলেন সঙ্গীতশিল্পী সাহানা বাজপেয়ী।
শান্তিনিকেতনে নিজের হাতে রাখি বানিয়ে সহপাঠী বা বন্ধুদের পরানোর চল রয়েছে। পাঠভবনের ছাত্রীরা গোটা মাস ধরেই রাখি বানায়। আর পছন্দের রাখিটি বরাদ্দ রাখে প্রিয়জনের জন্য। ছোটবেলার সেই নস্টালজিয়াই উঠে এল সাহানা বাজপেয়ীর লেখায়। সঙ্গীতশিল্পী লিখছেন, 'আজকে পাড়ার দোকানে তৈরি রাখি কিনতে গিয়েছিলাম। দোকানি, যার থেকে পুরো ছোটবেলা জুড়ে রাখির সুতো কিনেছি, বললেন - “সুতো নিয়ে যাও। মেয়েকে দেখাও এখানকার ট্র্যাডিশন।” আমরা সারা মাস জুড়ে রাখী বানাতাম। ব্রাশ করে করে হাত ব্যথা হতো ঠিকই, কিন্তু দারুণ উত্তেজনার বিষয় ছিলো গোটা ব্যাপারটা!রাখির দিন পছন্দের মানুষদের রাখি পরানো আর তার বদলে, আমূল চকলেট।'
দোকানদারের কথা শুনে রাখি নয়, সুতোই কিনে এনেছিলেন সাহানা। তারপর বাড়িতে বসে ব্রাশ করে রাখি বানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় শএয়ার করেছেন রাখি ব্রাশ করার সেই ভিডিও। ধাপে ধাপে ভাগ করে নিয়েছেন রাখি বানানোর পদ্ধতি। সেইসঙ্গে লিখেছেন, 'দুই যুগের বেশি কেটে গিয়েছে, ভেবেছিলাম ভুলে গেছি রাখি বানাতে। মেয়ে দেখে বলল - “মা, এটা তো স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ভ্যানিলা রাখি'।
নিজের রবীন্দ্রসঙ্গীতের অ্যালবাম ছাড়াও আধুনিক গান নিয়ে কাজ করেছেন সাহানা। গান করেছেন টলিউডের মূল ধারার ছবিতেও। সম্প্রতি শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের ছবি 'কন্ঠ' -তে সবাই চুপ গানটি মন জয় করেছিল শ্রোতাদের। শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর ছাত্রী সাহানার পরিচিতি লোকসঙ্গীত থেকে শুরু করে অন্য ধারার গানেই।
পুজোর বাকি আর ৫০ দিন। রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরির মধ্যেই বাতাসে আগমনীর সুর। করোনা আবহে মন খুলে আনন্দে ভাঁটার টান। তবে, নিয়ম মেনে খুঁটিপুজো হচ্ছে বারোয়ারি থেকে শুরু করে আবাসনে। করোনা আবহে বদলেছে পরিস্থিতি। একদিকে বিশ্বজুড়ে আর্থিক সমস্যা, অন্যদিকে অতিমারী আবহে মন্ডপে মানুষের প্রবেশ নিষেধ। সব মিলিয়ে, এবার অনেক পুজো উদ্যোক্তাই থিম ভাবনা থেকে সরে এসে ফের সাবেকি মণ্ডপের দিকেই ঝুঁকছেন। কোথাও কোথাও ফিরছে একচালার ঠাকুর।