পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া : পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে কয়েকজন ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে দাবি, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাঁড়িপাড়া এলাকায় ১৫ জন ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।  পুরসভা সূত্রে দাবি, আক্রান্তদের মধ্যে ৬-৭ জনকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  ইতিমধ্যে এলাকায় গেছে পুরসভার টিম। বাসিন্দাদের মধ্যে ওষুধ বিলি করা হয়েছে।  পরীক্ষার জন্য জলের নমুনা সংগ্রহ করেছেন পুরসভার কর্মীরা।


আরও পড়ুন :


জয়ী তৃণমূল প্রার্থী প্রয়াত কাজল সিন্হার বাড়িতে বিজেপি প্রার্থী! পেলেন তাঁর স্ত্রীর 'আশীর্বাদ'



গত অগাস্ট মাসেও একই ধরনের রোগের প্রকোপ দেখা যায় বাঁকুড়ায়। গ্রামে জনা চল্লিশেক আক্রান্ত হন এই রোগে। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হয়।  ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীরা গ্রামে গিয়ে চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থার আশ্বাস দেন। বাঁকুড়ার ১ নম্বর ব্লকের বোলাড়া গ্রামের নাপিত পাড়ায় মেরেকেটে বসবাস করে পঞ্চাশটি পরিবার। এই গ্রামে একে একে অসুস্থ হতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। ঘন ঘন পায়খানা, বমি, পেটে ব্যথা-সহ বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। গ্রামে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ার খবর পেতেই গ্রামে যায় স্বাস্থ্য দফতরের টিম।


পরে আবার বাঁকুড়া পুর এলাকায় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা যায়।এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, প্রায় ঘরে ঘরে ছড়িয়েছে পেটের রোগ। কারও বমি, কারও পেটে ব্যথা। কয়েক দিনে পাঁচজন অসুস্থ হয়ে পড়েন।  ওই এলাকায় তিন ব্যক্তির মৃত্যু ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায়। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, তাঁদের মৃত্যু ডায়ারিয়ার কারণেই হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ জানান, তাঁরা যথেষ্ট ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে আছেন। ডায়েরিয়া ছড়িয়ে পড়ার খবর পেতেই বাঁকুড়া পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই এলাকায় যান। অসুস্থদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি, পানীয় জলের উৎসগুলি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পুরসভার ওই দল।  যদিও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দাবি করেন, ডায়ারিয়ার কারণে কারও মৃত্যু হয়নি।