পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: পুজো মিটতেই  কোথাও জ্বরের প্রকোপ, কোথাও ডায়েরিয়ার। বাঁকুড়া জেলায় উত্সবের আবহে রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছেই। বাঁকুড়ার পুর এলাকার ময়রাবাঁধে ডায়েরিয়ার প্রকোপ বেড়ে চলেছে কয়েকদিন ধরে। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের এই এলাকায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা। 
বাঁকুড়া পুরসভা সূত্রে খবর, দ্বাদশীর দিন থেকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাড়িপাড়ায় ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়।  এখনও পর্যন্ত হাড়িপাড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৭ জন।
বাঁকুড়ার হাতিপাড়ার বাসিন্দা হারু মালাকার জানালেন, ' আতঙ্ক রয়েছে। বেশ কিছুজন হাসপাতালে ছিল। বাড়িও ফিরেছে অনেকে। মেডিক্যাল ক্যাম্প হয়েছে। জলের গাড়ি দিয়েছে। আজও একজন ভর্তি। ভয় যাচ্ছে না' ।ময়রাবাঁধের বাসিন্দা বান্টি দাঁ জানালেন,  'বাড়িতে এসে ওআরএস, ওষুধ দিচ্ছে। পুরসভা জলও দিচ্ছে। কিন্তু ভয় হচ্ছে কী হবে।'


পরিস্থিতি সামাল দিতে মঙ্গলবার স্থানীয় স্কুলে মেডিক্যাল ক্যাম্পের ব্যবস্থা করে পুরসভা। স্থানীয়দের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে ওষুধ।  এলাকায় পাঠানো হয়েছে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক। ইতিমধ্যেই পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে পুরসভার তরফে। 


বাঁকুড়া পুরসভার প্রশাসক অলোকা সেন মজুমদার জানালেন, ' আমরা মেডিক্যাল টিম পাঠিয়েছিলাম। বাড়ি গিয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হয়েছে। ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। ৭ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ' 


এই পরিস্থিতিতে এলাকার পরিচ্ছন্নতার ওপর নজর দিয়েছে পুরসভা। ছড়ানো হচ্ছে ব্লিচিং পাওডার।


গত অগাস্ট মাসেও একই ধরনের রোগের প্রকোপ দেখা যায় বাঁকুড়ায়। গ্রামে জনা চল্লিশেক আক্রান্ত হন এই রোগে। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হয়।  ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীরা গ্রামে গিয়ে চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থার আশ্বাস দেন। বাঁকুড়ার ১ নম্বর ব্লকের বোলাড়া গ্রামের নাপিত পাড়ায় মেরেকেটে বসবাস করে পঞ্চাশটি পরিবার। এই গ্রামে একে একে অসুস্থ হতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। ঘন ঘন পায়খানা, বমি, পেটে ব্যথা-সহ বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। গ্রামে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ার খবর পেতেই গ্রামে যায় স্বাস্থ্য দফতরের টিম।