পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: দল তাঁকে বহিষ্কার করেছে। সেই তিনিই এলেন একুশের সমাবেশে। একা না, তাঁর সঙ্গে অসংখ্য অনুগামী। এমনই ঘটনা ঘটল এদিন। বাঁকুড়া (Bankura) থেকে বাসে করে সমর্থকদের নিয়ে কলকাতায় এলেন ওই নির্দল কাউন্সিলর।  বাসে লাগানো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ছবি এবং তৃণমূলের লোগো। এমনটা ঘটিয়েছেন বাঁকুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর। এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। 


২১ জুলাইয়ের সমাবেশ তৃণমূলের (TMC) কর্মী-সমর্থকদের জন্য বরাবরই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনের সমাবেশে যোগ দিতে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে আসেন কর্মী-সমর্থকরা। সেভাবেই মঙ্গলবার বাঁকুড়া থেকে রওনা দেন, তৃণমূলের বহিষ্কৃত এক নেত্রী তথা নির্দল কাউন্সিলর। সঙ্গে বিপুল সংখ্যক সমর্থক। তাঁদের আনতে লেগেছে পাঁচ-পাঁচটি বাস। সেভাবেই বাঁকুড়া শহর থেকে ৫টি বাসে অনুগামীদের নিয়ে কলকাতায় এসেছেন বাঁকুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলার অনন্যা রায় চক্রবর্তী। প্রতিটি বাসের গায়ে তৃণমূলের ফ্লেক্স, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি, সঙ্গে কর্মীদের মুখে তৃণমূলের স্লোগান। 


বক্তব্য-পাল্টা দাবি
বাঁকুড়া পুরসভার (Bankura Municipality) ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর বলেন, 'আমরা তো অন্য কোনও দল না। তৃণমূল সমর্থিত। তৃণমূল করতে চেয়েছি। তাই করছি।' যদিও এমন ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছে জেলার তৃণমূলের একাংশ। যাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তিনি কেন তৃণমূলের পতাকা, লোগো ব্যবহার করবেন, সেই প্রশ্ন করা হয়েছে। বাঁকুড়া শহর তৃণমূলের সভাপতি সিন্টু রজক বলেন, 'কেউ শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে যেতেই পারে। কিন্তু সিম্বল ব্যবহার কেন?' এই নিয়ে পাল্টা বক্তব্য রেখেছেন অনন্যা রায় চক্রবর্তী। তিনি বলেন, 'তৃণমূলের প্রোগ্রামে যাচ্ছি, তাই সিম্বল রেখেছি। মমতাকে দর্শন করতে যাচ্ছি। কিছু চাইছি, তা নয়। বহিষ্কৃত হয়েছি। যোগদান তো আমি করব না। আমাকে করানো হবে।'


দ্বন্দ্ব কেন?
বাঁকুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনন্যা রায় চক্রবর্তী। এই বছর পুরসভা নির্বাচনে, তৃণমূলের টিকিট পাননি তিনি। তারপরেই নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন অনন্যা। ভোটের ময়দানে জয়লাভও করেছেন। এরপর দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। তারপরে, এদিন তাঁদের দেখা গেল একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে।


বিজেপির কটাক্ষ:
এমন ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির (BJP) বাঁকুড়া নগর মণ্ডলের সভাপতি কৌশিক পাঠক।


২১ জুলাইয়ের সভায় দল থেকে বহিষ্কৃত তৃণমূল কাউন্সিলরের সদলবলে যোগ দেওয়া ঘিরে শুরু হয়েছে জোর তরজা।


আরও পড়ুন: সুন্দরবনে ঘুরতে এসে লঞ্চ থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ উত্তরবঙ্গের পর্যটক