তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া : রাজ্যের কয়েকটি জেলায় ঘূর্ণিঝড় 'দানা' বিশাল তাণ্ডব চালাবে বলে মনে করা হয়েছিল। সেইসব জায়গায় বিশাল পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি না হলেও, তুমুল বৃষ্টিতে ভালই ক্ষতি হয়েছে চাষের। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র জেরে পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।


ঝড়-বৃষ্টি হলে সবজি এবং ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করেছিলেন এলাকার কৃষকরা। কৃষকদের সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। নষ্ট হল বিঘার পর বিঘা জমির ধান। ভেঙে পড়েছে সবজিমাচা। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর ব্লকের কাশিচটা এলাকায় বহু কৃষক নিম্নচাপের আগে ধান কেটেছেন। কিন্তু, হঠাৎ করেই বৃষ্টি নামায় তা ঘরে তুলতে পারেননি কৃষকরা। ফলে, গত তিনদিন ধরে জলের তলায় বিঘার পর বিঘা জমির ধান।


তড়িঘড়ি করে কাঁচা ধান কেটে ফেলেছিলেন এলাকার চাষিরা। কিন্তু, বৃষ্টির জন্য সেই ধান ঘরে তুলতে পারেননি তাঁরা। গত তিনদিন ধরে জলের তলায় ধান। যার ফলে মাঠেই কাটা ধানের অঙ্কুর বেরিয়ে গিয়েছে। চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন এলাকার চাষিরা। কীভাবে মহাজনের টাকা পরিশোধ হবে, কীভাবেই বা সংসার চলবে, সেই ভেবেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।


এদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় হলদি নদীর পাড়ে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের খড়িবেড়িয়া, মহম্মদপুর, দীনবন্ধুপুর, জেলেমারা, দুর্গাপুর, গাংরা এলাকায় সবজি চাষ একমাত্র জীবিকা। শীতকালীন সবজি বাজারে নিয়ে যাওয়ার আগে মাঠেই ফসল নষ্টের আশঙ্কা। বৃষ্টির কারণে খেতে জল জমে রয়েছে। ফসল নষ্ট হলে বাজারে জোগান কমলে দাম বাড়বে, জানিয়েছেন কৃষকরা।


ফসলের ক্ষতি হয়েছে ঝাড়গ্রামেও। মাথায় হাত সাঁকরাইলের ধান চাষিদের। ফসল কেটে ঘরে তোলার আগেই বিপর্যয়, ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ধান জমি জলমগ্ন হয়ে পড়ায় বড়সড় ক্ষতির মুখে সাঁকরাইলের কৃষকরা। পাশাপাশি, ভেঙে পড়েছে একাধিক কাঁচা বাড়ি। 


দানার প্রভাবে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে ছিল লাল সতর্কতা। বৃষ্টিপাতের সঙ্গে চলে ঝোড়ো হওয়ার দাপট। আর সেই দানার দাপটে নষ্ট চাষের ফসল। সাঁকরাইলের সিঁদুরগৌরা, ধানঘোরি, কুলডিহা, চাঁদপাল সহ সাঁকরাইলের বিভিন্ন এলাকায় ধানের ক্ষতির মুখে চাষিরা। ধান পাকার মুখেই ধানের জমিতে জমেছে জল। শুয়ে পড়েছে ধানের গাছ। তাই বড় মাপের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা !


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে