পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া : গত কয়েক দিনের তীব্র গরমের পর খানিক স্বস্তি দিয়েছিল রবিবার বিকেলে কয়েকটি জেলার বৃষ্টি (Rain) । কিন্তু সেই স্বস্তির মধ্যেই কাঁটার মতো বিঁধল মৃত্যুর খবর। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই বাঁকুড়ায় বাজ পড়ে (Bankura Lightling Death) একদিনে মৃত্যু হল ৩ জনের। আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।


গত কয়েকদিন ধরে একটানা ভ্যাপসা গরমের পর রবিবার বিকেল থেকে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি শুরু হয় বাঁকুড়া জেলায় । বৃষ্টির সময় পৃথক তিনটি বজ্রপাতের ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এই জেলায়। 

বজ্রপাতে মারা যান বাঁকুড়ার (Bankura) ছাতনা থানার পাতাবড় গ্রামের মীরা বাউরী ( ৬১)। পাতাবড় গ্রাম সংলগ্ন মাঠে বিকেলে গরু চড়িয়ে বাড়ি ফেরার পথে আচমকা বজ্রপাত আর তাতেই মৃত্যু।


অন্যদিকে ছাতনা থানার ছাচনপুর গ্রাম সংলগ্ন নদী ঘাটে মাছ ধরার সময় আচমকাই বজ্রপাতে মৃত্যু হয় ছাচনপুর গ্রামের বাসিন্দা সাগেন মুর্মু (২০) নামের এক যুবকের। একই সঙ্গে এই ঘটনায় আরও তিনজন আহত হন। আহতদের ছাতনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


 রবিবার বিকেলে বাঁকুড়া জেলার শালতোড়া থানাতেও বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে মৃতার নাম শুকুরমনি সোরেন ( ২৭)। মাঠে অন্য তিনজনের সঙ্গে ধান রোপনের কাজ করার সময় শুকুরমনি সহ চারজনই বজ্রপাতে আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে শালতোড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে শুকুরমনিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অপর তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে । 


গত শনিবার কলকাতায় বজ্রপাতে মারা যেন রিজেন্ট পার্কের আনন্দ পল্লির বাসিন্দা বছর ২৪-এর কৌশিক কর। ম্য়ানেজমেন্টের ছাত্র এই যুবক এদিন বৃষ্টি শুরু হলে ছাদে যান। আচমকা বাজ পড়লে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। 


বৃষ্টির সময় গরু চরিয়ে ফিরছিলেন ছাতনার পাতাবড় গ্রামের বাসিন্দা মীরা বাউড়ি। বাজ পড়ে মৃত্যু হয় বছর ৬১-র ওই মহিলার। ছাতনারই ছাতনপুর গ্রামে নদীতে মাছ ধরার সময়, বাজ পড়ে মৃত্যু হয় সাগেন মুর্মু নামে বছর কুড়ির এক তরুণের। আরও ৩ জন আহত হন। অন্যদিকে, শালতোড়ায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে বছর ২৭-এর শুকুরমণি সোরেনের। মাঠে ধানের চারা লাগানোর সময় এই ঘটনা ঘটে। এখানেও বাজ পড়ে ৩ জন জখম হন।