পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া:  বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দপুরে দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যু (Unnatural Death)। হাসপাতালে (Hospital) চিকিৎসাধীন তাঁদের ছেলে-মেয়ে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার (Food Poison) জেরে এই ঘটনা বলে চিকিৎসকদের (Doctors) অনুমান। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে, জানিয়েছে পুলিশ। এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকস্তব্ধ আত্মীয়-পরিজন ও স্থানীয়রা। ঘটনার আকস্মিকতায় তাঁরা হতবাক। 


রাতের খাবার খেয়ে শুয়েছিলেন সবাই। পরিবারের একরত্তি শিশুর কান্না শুনে ভোরে খোঁজ নিতে গিয়ে চমকে উঠেছিলেন প্রতিবেশীরা।ঘরের মধ্যে অচৈতন্য হয়ে পড়ে রয়েছেন চারজন।  তাঁদের মাঝে বসে কাঁদছে শিশু।হাসপাতালে ভর্তি করার পরের দিন দম্পতির মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় ছেলে ও মেয়েকে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার জের? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে, বাঁকুড়ার ইন্দপুরে ধানসাতরা গ্রামে।


পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়েন এক শিশু সহ পরিবারের ৫ সদস্য। শুক্রবার ভোরে শিশুর কান্না শুনে ঘটনার কথা জানতে পারেন প্রতিবেশীরা। অসুস্থদের প্রথমে ইন্দপুর  ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার রাতে মৃত্যু হয়  অশোক বসু (৫০) ও তাঁর স্ত্রী কেয়া বসুর (৪৩)।


মৃতদের আত্মীয় সুভাষ বসু বলেছেন, বাচ্চার কান্নাকাটির শব্দ শুনে গিয়ে দেখতে পাই সবকিছু। অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিল সবাই। সব কিছু দেখতে পেয়ে আমরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাই।


বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান জানান, খাবারে বিষক্রিয়ার জেরেই এই ঘটনা বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে।


দম্পতির মৃত্যুর খবর পেয়ে শনিবার হাসপাতালে যান স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক।তালডাংরার বিধায়ক  অরূপ চক্রবর্তী বলেছেন,  খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে এই ঘটনা বলে মনে হয় হয়েছে। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলব। পরিবারের পাশে আছি।


পুলিশ সূত্রে খবর, কীভাবে খাবারে বিষক্রিয়া হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সংগ্রহ করা হয়েছে খাবারের নমুনা।মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ।