কলকাতা: সাধারণ কার্ডের মতো কাজে আসবে, সমস্যা হবে না রেশন তুলতে। সম্প্রতি রাজ্যবাসীকে ই-রেশন কার্ড (E-Ration Card) সম্পর্কে সচেতন করতে প্রচার শুরু করেছে সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরা হয়েছে ই-রেশন কার্ড সম্পর্কিত জরুরি তথ্য।


কী বলা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে


ই-রেশন কার্ড খাদ্য দফতরের ছাপানো রেশন কার্ডে মতোই বৈধ।


ই-রেশন কার্ড দেখিয়ে উপভোক্তা ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে প্রাপ্য সামগ্রী নিতে পারবেন। কেরোসিন তেলের দোকান ঠিক করার জন্য খাদ্য পরিদর্শকের অফিসে একবার যেতে হবে। 


তবে জেনারেল ই-রেশন কার্ড (বা জেনারেল ডিজিটাল রেশন কার্ডে) কোনও ভরতুকিযুক্ত খাদ্যসামগ্রী বা কেরোসিন তেল পাওয়া যাবে না। ই-রেশন কার্ডধারীরা e-kyc (রেশন কার্ড ও আধার কার্ডের আঙুলের ছাপের মধ্যে সংযুক্তিকরণ) থাকাটা বাধ্যতামূলক।



যারা ইতিমধ্যেই ই-রেশন কার্ড পেয়েছেন অথচ e-kyc করেননি তারা যেকোনও রেশন দোকানে বা যেকোনও সহায়তা কেন্দ্রে অথবা যেকোনও খাদ্য পরিদর্শকের অফিসে e-kyc করিয়ে নিতে পারবেন।


ই-রেশন কার্ডের ছবি মোবাইলে দেখালে ই-পস মেশিনের আঙুলের চাপের মাধ্যমে শনাক্ত করে ডিলার উপভোক্তাকে তার প্রাপ্য সামগ্রী দেবেন।যদি কোনও বিশেষ কারণে আঙুলের ছাপের মাধ্যমে শনাক্তকরণে সমস্যা হয়, তবে মোবাইলে ওটিপির মাধ্যমে শনাক্তকরণ করা যাবে।কেরোসিন ডিলার তার রেজিস্টার ব্যবহার করে কেরোসিন তেল দেবেন। উভয়ের ক্ষেত্রেই ডিলারের রসিদ দেওয়ার বিষয়টা (টাকার লেনদেন না হলেও) বাধ্যতামূলক। 


ডাউনলোড করা রেশন কার্ড চাইলে আপনি যেকোনও জায়গা থেকে ডাউনলোড করে সাদা কাগজে বা পিভিসি-তে ছাপিয়ে নিতে পারেন। যদিও খাদ্য দফতরেরে তরফে উপভোক্তা ছাপানো রেশন কার্ড পরে পাবেন। 


ই-রেশন কার্ডের বৈধতা খাদ্য দফতরের ওয়েবসাইট www.wb.gov.in/RCVerification.aspx-থেকে যাচাই করা যেতে পারে।


আরও পড়ুন : Ration Aadhaar link: ঘরে বসেই করুন রেশন-আধার কার্ড লিঙ্ক, জানুন কীভাবে ?


আরও পড়ুন : Eastern Railway Recruitment: রেলে চাকরির সুবর্ণ সুযোগ, এই যোগ্যতা থাকলেই করুন আবেদন