পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: স্থানীয় স্তরে নেতা নির্বাচন নিয়ে ফের অন্তর্দ্বন্দ্বের ছবি উঠে এল তৃণমূলে। বাঁকুড়়ার ইন্দপুরেও অঞ্চল সভাপতির নির্বাচন ঘিরে তুমুল তরজা। দলের অঞ্চল সভাপতিদের নাম ঘোষণা হতেই বাঁকুড়া জেলায় একের পর এক ব্লকে তৃণমূলের অভ্যন্তরের নানা সমস্যার ছবি সামনে বেরিয়ে আসছে।


কয়েকদিন আগেই সিমলাপালে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে চড়াও হয়ে দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে তৃণমূলেরই একাংশ। এবার দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দলেরই ইন্দপুর ব্লকের সভাপতি রেজাউল খান। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। 


বারবার 'অন্তর্দ্বন্দ্ব';
দিন দুই আগেই সিমলাপাল ব্লকের সাতটি অঞ্চল সভাপতি পদে রদ বদল না করে পুরনোদেরই পুনর্বহাল করায় তৃণমূল কর্মীদের একাংশ সিমলাপালে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালায়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ইন্দপুরেও একই ঘটনা ঘটল। তৃণমূলের ইন্দপুর ব্লক সভাপতি রেজাউল খান-সহ নেতৃত্বের একাংশ চেয়েছিলেন গত গ্রাম পঞ্চায়েত, বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে দলের একাধিক অঞ্চল সভাপতি বদল করা হোক। ব্লক সভাপতির মাধ্যমে সেই তালিকা জমাও দেওয়া হয়েছিল দলের জেলা সভাপতির কাছে। কিন্তু গত ১ জানুয়ারি বাঁকুড়া তৃণমূল ভবন থেকে তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার অঞ্চল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হলে দেখা যায় ইন্দপুর ব্লকের সাতটি অঞ্চলের মধ্যে  তৃণমূলের কোনও অঞ্চল সভাপতিকেই বদল করা হয়নি। আর এতেই ক্ষোভের পারদ চড়তে শুরু করে তৃণমূলের ইন্দপুর ব্লক নেতৃত্বের একাংশের মধ্যে। তৃণমূলের ইন্দপুর ব্লক সভাপতি রেজাউল খান প্রকাশ্যেই দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে সরব হন। তাঁর দাবি, ইন্দপুর ব্লকে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের ফলাফল খারাপ হলে তার দায় নিতে হবে জেলা সভাপতিকেই। তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতির দাবি অঞ্চল সভাপতিদের রদবদল কারও ব্যক্তিগত বা একক সিদ্ধান্ত নয়। দলের জেলার কোর কমিটি বসে সেই তালিকা তৈরি হয়েছে। তালিকা কারও পছন্দ না হয়ে থাকলে দলের অন্দরেই সে ব্যাপারে আলোচনা করা যায়। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের জেলা ও ব্লক নেতৃত্বের মধ্যে ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে গন্ডগোলের জেরেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। 


গোটা ঘটনায় তৃণমূলের দিকে কটাক্ষ ছুড়েছেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানা।


আরও পড়ুন: 'বিজেপি নেতারা আবাস যোজনার বাড়ি নিয়েছে, সেই নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে', ভোটের আগে তোপ মমতার