কলকাতা: 'বিজেপি (BJP) নেতারা আবাস যোজনার (PM Awas Yojana) বাড়ি (house) নিয়েছে। সেই নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে', গঙ্গাসাগর (gangasagar) থেকে এবার চড়া সুরে পাল্টা তোপ তৃণমূলনেত্রী (TMC) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee)। তাঁর দাবি, '১৭ লক্ষ নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।' গত মাসখানেক ধরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তালিকায় দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষিপ্ত অশান্তির সাক্ষী থেকেছে রাজ্য়ের নানা প্রান্ত। তাতে নাম জড়িয়েছে শাসকদলের নেতা ও জনপ্রতিনিধি থেকে বিরোধী শিবিরেরও। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের আগে দুর্নীতির প্রশ্নে তৃণমূল যে কোনও আপস করতে রাজি নয়, সে বার্তা তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আগেই দিয়েছেন। এবার চড়া সুরে পাল্টা আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর।


কী বললেন?
'কোনও অভিযোগ থাকলে দুয়ারে সরকারে অভিযোগ করুন। কোনও রাজনৈতিক সভা থেকে সরকারি ফর্ম বিলি করা যায় না', কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এর পরই আসে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের কথা। অতীতের ধারা বজায় রেখে এদিনও মমতা বলেন, '১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ, তা সত্ত্বেও ৫০ লক্ষ কর্মদিবস তৈরি করেছি।' বঞ্চনার অভিযোগ শোনা গিয়েছে গঙ্গাসাগর নিয়েও। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, 'আজ কুম্ভ মেলা সব পাচ্ছে কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলা কেন বঞ্চিত?' ঘটনাচক্রে আজই রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল। সকালে আবাস-দুর্নীতির তদন্তে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে জেলাশাসকের অফিসে পৌঁছন ৩ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি। নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের অধিকর্তা শৈলেশ কুমার। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সিপিএমের তরফে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। কারা কারা বেআইনিভাবে আবাস-যোজনায় ঘর পেয়েছেন, তার তালিকাও তুলে দেওয়া হয় তদন্তকারী কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের হাতে। এদিন মালদাতেও যাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের। এ ব্য়াপারে রাজ্যের সহযোগিতা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। মুখ্যমন্ত্রীর অবশ্য বক্তব্য, 'রাজনৈতিক কারণে টিম পাঠাচ্ছে কেন্দ্র।...ক্ষমতায় আছেন বলে বারবার কেন্দ্রীয় দল পাঠাচ্ছেন। ক্ষমতা আজ আছে, কাল নেই।'


প্রতিক্রিয়া বিজেপির...
মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার প্রতিক্রিয়া, 'যাঁরা শিক্ষক পদ বিক্রি করেন, তাঁরা এত বড় বড় কথা বলেন কী ভাবে?' অন্য দিকে আবাস-তালিকায় দুর্নীতির তদন্তে আসা কেন্দ্রীয় দলকে স্বাগত জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, 'গরিবদের বঞ্চনাকারী চোরেদের জেলে যাওয়া উচিত।' এর আগেও একাধিকবার দুর্নীতি প্রশ্নে শাসকদলের চাঁচাছোলা সমালোচনা শোনা গিয়েছে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের মুখে। কিন্তু ভোটের আগে এই ইস্যুতে দল যে কোনও আপসে নারাজ, সে বার্তা বার বার স্পষ্ট করে দিতে চান শীর্ষ তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার পাল্টা আক্রমণেও গেলেন মুখ্যমন্ত্রী।


আরও পড়ুন:'বন্দে ভারতে পাথর ছোড়া হয় বিহারে, বদনাম করা হচ্ছে বাংলাকে', সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়