প্রসূন চক্রবর্তী, বাঁকুড়া: ফের বিক্ষোভে তপ্ত বাঁকুড়ার খনি অঞ্চল। বড়জোড়ার ট্রান্স দামোটর কয়লাখনির (Trans Damodar Coal Mine) বিরুদ্ধে ফুঁসছেন জমাদার গ্রামের বাসিন্দারা। শুক্রবার সংস্থার দফতেরর সামনে বিক্ষোভ দেখান সকলে। তাঁদের অভিযোগ, কয়লা উত্তোলনের জন্য উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরণ ঘটানো হয় খনিতে (Blast at Coal Mine)। তাতে এলাকার সব বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষ পুনর্বাসনের (Rehabilitation) ব্যবস্থা না করলে বিক্ষোভ থেকে সরবেন না তাঁরা।
সংবাদমাধ্যমেও ক্ষোভ উগরে দেন বিক্ষোভকারীরা। জানান, ২০১১ সালে জমাদার গ্রামে কোলিয়ারি চালু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে গেলেও, ফের ২০১৯ সালে কোলিয়ারি চালু করা হয়। তীব্র বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সেখান থেকে কয়লা উত্তোলন করা হয়। তাতে জমাদার গ্রাম জুড়ে প্রায় সব বাড়িতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। বার বার স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও কেনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন: Banking: ব্যাঙ্ক পরিষেবায় কোভিডের ধাক্কা, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ফাটল ধরে ধরে এমন হয়ে গিয়েছে যে, বাড়িগুলি বসবাসের উপযুক্তই নেই। বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক থেকে স্থানীয় প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরেছেন। কিন্তু কেউ সমস্যা সমাধানের গরজ দেখাননি। তাই এলাকার বাসিন্দাদের উপযুক্ত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত এলাকায় কোলিয়ারির কাজ চালু হতে দেওয়া য়াবে না বলে জানিয়েছেন বিক্ষোবকারীরা।কর্তৃপক্ষ সমঝোতায় এলে তবেই সেখান থেকে সরবেন বলে জানিয়েছেন।
এ নিয়ে বাঁকুড়া সদরের মহকুমাশাসক সুশান্তকুমার ভক্তের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবিপি আনন্দ। তিনি বলেন, ‘‘এ নিয়ে আলোচনা চলছে। অনেক দাবি রয়েছে এলাকাবাসীর। এর মধ্যে পুনর্বাসনকে আপাতত প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।’’ খুব শীঘ্র সমানে পৌঁছনো সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
শুধু বাঁকুড়াই নয়, এর আগে অণ্ডালের কোলিয়ারি সংলগ্ন বাসিন্দারা এমন সমস্যার মুখোমুখি হন। গত বছর দুর্গাপুজোর সময় সেখানে আচমকা ধস নামে। তাতে একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ে। ফাটল দেখা দেয় বিভিন্ন বাড়িতে।