পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: ফের সরকারি হাসপাতালে দালাল-রাজ, এবার বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যালে। প্রকাশ্যেই টাকা নিয়ে রোগী ভর্তি করছেন দালালরা! 


প্রকাশ্যেই টাকা নিয়ে রোগী ভর্তি করছেন দালালরা। এমনকী, তাঁরাই রোগীকে স্ট্রেচারে তুলে পৌঁছে দিচ্ছেন ওয়ার্ডে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন রোগীর আত্মীয়রা।


বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সক্রিয় দালাল- চক্র। দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িতদের দাবি, রোগী ভর্তি করিয়ে বেকারদের যেমন রোজগার হচ্ছে, পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও সহযোগিতা করছেন তাঁরা। দালালরাজের কথা স্বীকার করেছেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। তাঁর সাফাই, পর্যাপ্ত গ্রুপ ডি কর্মী না থাকায়, সুযোগ নিচ্ছে দালালরা।                               


আরও পড়ুন, বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেফতারি নিয়ে কড়া বার্তা রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের! পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা


বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, 'আমরা চেষ্টা করছি আইডেন্টিফাই যাতে করা যায়। সেখানের স্টাফদের ড্রেসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সিকিউরিটিও বেড়েছে অনেকটা। দালাল চক্র কমেছে অনেকটাই। তবে এখনও গ্রুপ ডি কর্মীর সংখ্যা বাড়েনি সেভাবে। ফলে এমার্জেন্সিতে ট্রলি ঠেলে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আগেই দালাল চক্রে পড়ছে রোগীর পরিজনরা। অনেক সময় ওঁরাই বলছে ওঁরা বাড়ির লোক।' 


রোগীর আত্মীয়র কথায়, 'আমরা হাসপাতালে আসার সঙ্গে সঙ্গে ওঁরা (দালাল) চলে আসে। বলল আমরাই সব করব, নামিয়ে দেব, নিয়ে যাব। তবে পয়সা নেব। কত টাকা লাগবে তা জিজ্ঞেস করাতে প্রথমে বলল ১০০০ টাকা, তারপর বলল ৫০০ টাকা। এরপর আমি বলি যে এত টাকা দিতে পারব না আমরা গরীব মানুষ। ৩০০ টাকা দিতে পারব। আমার কেউ নেই এখানে ওদেরকে দিয়েই কাজটা এখন করাতে হবে, তাই টাকাটা দিতেই হল। তাছাড়া কোনও উপায় ছিল না। 


এদিকে দালালদের দাবি, 'কথায় আছে দশে মিলে করি কাজ। অনেক বেকার ছেলে এটা করে কিছুটা পয়সা পাচ্ছে। আমরা খুব ন্যূনতম টাকা নেই। তবে অনেক ছেলে ১০০০ টাকা, ৫০০ টাকা নিচ্ছে আর এর ফলে আমাদের দুর্নাম হচ্ছে।'  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে