তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: আজ সপ্তমী। পাড়ায় পাড়ায় পুজো প্যান্ডেলে সপরিবারে দেবী দুর্গা পুজিত হচ্ছেন (Durga Puja 2023)। কিন্তু বাঁকুড়ায় এরই মাঝেই অচেনা ছোঁয়া।বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের মল্লরাজ পরিবারের মৃন্ময়ীয় পুজো হয়ে চলেছে একটি প্রাচীন বিশেষ পুঁথি অনুসারে। বলিনারায়নি নামের সেই পুঁথির নিয়ম নীতি মেনে আজও পুজো চলে আসছে।


সপ্তমীর সকালে এলেন সরস্বতী


উল্লেখ্য, রাজার পুজো, তাই এখানে পুজোর নিয়ম ভিন্ন ধরণের। এই পুজো শুরু হয় জিতাষ্টমীর ঠিক পরের দিন অর্থাৎ নবমী তিথি ধরে। দেবীপক্ষের চতুর্থী তিথিতে মন্দিরে এসেছেন মেজ ঠাকরুন অর্থাৎ মহালক্ষ্মী। আজ সপ্তমীর সকালে এলেন ছোট ঠাকরুণ অর্থাৎ মহা সরস্বতী। এই তিন ঠাকরুণ আসলে স্থানীয় ফৌজদার পরিবারের হাতে আঁকা তিনটি বিশেষ পট। আর এই পটেই হয় বিশেষ পুজো।


রাজ্যজুড়ে মহোৎসবের আবহ


এদিকে সপ্তমীতে রাজ্যজুড়ে মহোৎসবের আবহ৷ কলকাতার উত্তর, দক্ষিণ, সব জায়গাতেই এক ছবি৷ সকাল থেকেই ঠাকুর দেখার ভিড়৷ নতুন জামাকাপড়৷ নতুন জুতো৷ হৈ-হুল্লোড়, খাওয়া-দাওয়া৷ উত্সবের আনন্দে ভাসছে শহর। থিম, সাবেকিয়ানা, নান্দনিকতায় মিলে-মিশে উদযাপনের রঙ৷ বাঙালির সেরা উৎসব।


আরও পড়ুন, শহরে নাড্ডার হোর্ডিং সরতেই TMC-র উপর চটলেন দিলীপ, বললেন..


মহাপুজোয় মশগুল মহানগর


প্রসঙ্গত, মহাপুজোয় মশগুল মহানগর। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পায়ে পায়ে সিগন্যাল গ্রিন। ভিড়ের চাপে যতই চিড়ে চ্যাপ্টা অবস্থা হোক কিম্বা ঘেমেনেয়ে একশা হোক গিলে করা পাঞ্জাবি, থেমে নেই প্যাণ্ডেল হপিং। আপত্তি নেই লম্বা লাইনের দীর্ঘ প্রতীক্ষায়। বছরে তো এই ক’টা মাত্র দিন। রাজপথে মানুষের ঢল। সময়ের সঙ্গে বাড়ছে জনস্রোত।আলো ঝলমলে শহরে ঠাকুর দেখার ঢল। থিম, সাবেকিয়ানা মিলেমিশে একাকার উৎসবের রঙ। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে সেই আমেজই তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন শহরবাসী। সঙ্গে হুল্লোড়, আড্ডা, পেটপুজো। ফুচকা, রোল, চাউমিন। 


প্রাচীন রীতিনীতির পাশাপাশি থিম পুজোর ফিউশনে কলকাতা


সুকুমার রায়ের অমর সৃষ্টি আবোল তাবোলের একশো বছর। বিভিন্ন চরিত্র দিয়ে সাজিয়ে তোলা মণ্ডপ। সাহিত্য প্রয়োগে এবার সেরার সম্মান ছিনিয়ে নিল হাতিবাগান নবীন পল্লি। এবার এই পুজো পড়ল ৯০ বছরে।প্রান্তজনের আত্মকথন। টুসু পরবকে উপলক্ষ্য করে থিম। এবার তেলেঙ্গাবাগানের পুজো পড়ল ৯৮তম বছরে। অপরদিকে, দক্ষিণ কলকাতায় দেখতে দেখতে ৭৪ বছরে পা দিল কসবা বোসপকুরের পুজো। বরাবরের মতোই এবারও সেখানে থিমের পুজো। আনুষ্ঠানিকভাবে থিমের নাম দেওয়া হয়েছে আয়োজন।  আসলে পুজো মণ্ডপ তৈরি হয়েছে চেয়ার দিয়ে। ডেকরেটরদের বহুল প্রচলিত সেই লুপ্তপ্রায় সাদা চেয়ার এখানে ব্যবহার করা হয়েছে।জনসমাবেশে যে চেয়ারগুলি ব্যবহার করা হয়, সেই চেয়ারগুলিকে দিয়েই মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। যা মূলত ক্ষমতার প্রতীক।