কলকাতা: সবে ঘুরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার শহরে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা (JP Nadda)। সপ্তমীর সকালে কলকাতায় পা রাখলেন নাড্ডা। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতৃত্বের এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই নিয়ে কোনও রাখঢাক করলেন না নাড্ডাও। তৃণমূলকে নিশানা করে বললেন, "শুভশক্তির হাতে ক্ষমতা আসুক।" (West Bengal BJP)
শনিবার সকালে কলকাতায় পা রাখেন নাড্ডা। কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখান থেকে এদিন সকালে প্রথমে হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডে জুগনু অ্যাসোসিয়েশনের পুজো মণ্ডপ ঘুরে দেখেন তিনি। তার পর সোজা চলে যান শোভাবাজার রাজবাড়িতে। সেখানে নাড্ডার পাশে দেখা যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দলের নেতা রাহুল সিন্হাকেও। সেখানে অঞ্জলি দেন নাড্ডা। বেশ কিছু ক্ষণ সেখানে কাটিয়ে নিউ মার্কেট সর্বজনীন পুজোয় পৌঁছন। এদিন বিজেপি নেতা সজল ঘোষের সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের পুজোতেও যাওয়ার কথা তাঁর।
এদিন নাড্ডাকে বলতে শোনা যায়, "আমি আর কীই আর চাইব? কিছু লোকের মতিভ্রম হয়েছে। সুবুদ্ধি ফিরুক। বাংলায় শুভশক্তির হাতে ক্ষমতা আসুক। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস'-এর মাধ্যমে রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাক। ইউনেস্কো বাংলার দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে। নবরাত্রির এই শুভ মুহূর্তে মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা, মা শক্তির রূপ। অসুর শক্তিকে পরাস্ত করতেএই শক্তির প্রয়োগ হোক। অসুর শক্তির বিনাশ হোক। অসুর শক্তি যারা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন, ভাই-ভাইপো নীতিকে প্রতিষ্ঠা করেন, এমন অশুভ শক্তিকে পরাস্ত করতে শক্তি দিন মা দুর্গা।"
এদিন পুজো দেখার পর, নিউটাউনে একটি হোটেলে রাজ্য নেতৃত্বকে নিয়ে ঘরোয়া বৈঠক সারবেন নাড্ডা। এদিনই বিমানবন্দর থেকে ভিন্ রাজ্যে রওনা দেবেন তিনি। তবে তাঁর এদিনের সফরও বিতর্ক থেকে রক্ষা পায়নি। তিনি এসে পৌঁছনোর আগে শোভাবাজার রাজবাড়ির সামনে শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে নাড্ডার নামে দেওয়া হোর্ডিং খুলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করে গেরুয়া শিবির, তাতে দেখা যায় রাস্তার সামনে রাখা নাড্ডার ছবি দেওয়া হোর্ডিংগুলি সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেক জায়গায় আবার হোর্ডিংয়ের মুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে কেউ না দেখতে পারে। সেই নিয়ে তরজা শুরু হতে সময় লাগেনি।