পূ্র্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে মাইক বাজিয়ে সভা করলেন বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA)। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। হাসপাতাল চত্বরে কীভাবে মাইক বাজানোর অনুমতি মিলল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুপার। যদিও এতে দোষের কিছু দেখছেন না বিজেপি বিধায়ক। আর এই সুযোগে গেরুয়া শিবিরকে বিঁধতে ছাড়েনি তৃণমূল।


হাসপাতাল চত্বরে মাইক বাজিয়ে সভা: স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপির প্রতিবাদ। অথচ তাদের বিধায়কের বিরুদ্ধেই উঠল স্বাস্থ্য বিধি ভাঙার অভিযোগ।সমবার বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিজেপির ডেপুটেশন কর্মসূচিতে তারস্বরে বাজল মাইক। হ্যান্ড মাইকে ভাষণ দিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। বিজেপির বিক্ষোভস্থল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে সুপারের অফিস। একটু দূরেই হাসপাতালের স্ত্রী ও প্রসূতি বিভাগ। শব্দের তাণ্ডবে অস্থির রোগী ও তাঁদের আত্মীয়-পরিজনেরা। হাসপাতালের স্বাভাবিক কাজকর্মও ব্যাহত হয় বলে অভিযোগ।

হাসপাতাল চত্বরে মাইক বাজানোয় বিধিভঙ্গের অভিযোগ মানতেই চাননি বিজেপি বিধায়ক। নীলাদ্রিশেখর দানার (Niladri Sekhar Dana) কথায়, “আমাদের কেউ এসে বলুক।মাইক বন্ধ করে দেব। রোগীদের জন্য এসেছি। তাদের স্বার্থে, তাদের জানানোর জন্য।’’বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নিকৃষ্ট মানের চিন্তাভাবনা। মুমূর্ষু রোগী আছে। প্রশাসনের কাছে জানতে চাইব কারা পারমিশন দিয়েছে।’’

হাসপাতাল চত্বরে মাইক বাজানোর অনুমতি দিল কে? প্রশ্ন তুলেছেন মেডিক্যাল কলেজের সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়।তিনি বলেন, “ওঁরা আমার কাছ থেকে পারমিশন নেননি।হায়ার অথরিটিকে বলব।কী করে মাইক বাজাতে পারল।’’হাসপাতাল চত্বরে কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা, তা জানতে চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। 


এদিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সোমবার আদালতে চার্জশিট পেশ করে চাঞ্চল্য়কর দাবি করেছে ইডি। আর সেদিনই বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার বাধল সল্টলেকে। অন্য়দিকে, নিউটাউনের রাস্তায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি হাতে নিয়ে মিছিল করে, দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন বৃত্তিমূলক শিক্ষকরাও। খালি হাঁড়ি হাতে নিয়ে দোকানে দোকানে ঘুরলেন আন্দোলনকারীরা। NSQF শিক্ষকদের ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরির স্থায়ীকরণ, ছাঁটাই হওয়া যোগ্য় শিক্ষকদের পুনর্বহাল এবং, ল্যাব অ্যাসিস্টান্টদের বেতনসহ পুনর্বহালের দাবিতে সোমবার দণ্ডি কেটে কারিগরি ভবন অভিযানে সামিল হলেন বৃত্তিমূলক শিক্ষকরা। ন্যায্য আদায়ে বৃত্তিমূলক শিক্ষকরা এখনও ভরসা রাখছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওপরেই। আন্দোলনকারী এক শিক্ষক বলেন, “আমাদের বিষয়টাও একটু দেখুন। বৃত্তিমূলক ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে।’’


আরও পড়ুন: Skin Care Tips: মুখের ত্বকে ভুল করেও ব্যবহার করবেন না এইসব উপকরণ