পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া : 'ঘর ওয়াপসি।' পঞ্চায়েতে বোর্ড (Panchayat Board) গঠনের পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই নিজের পুরনো দল কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন। কংগ্রেসের (Congress) টিকিটে ভোটে জয়লাভের কয়েকদিনের মাথায় তৃণমূলের (TMC) পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন। আর তাতেই ত্রিশঙ্কু থাকা গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বোর্ড গঠন করে রাজ্যের শাসকদল। পুরস্কার হিসাবে 'দলবদলু'-কে দেওয়া হয় উপ প্রধানের পদ। তবে বোর্ড গঠন হতেই 'ঘর ওয়াপসি' ঘটল সেই কংগ্রেস প্রার্থীর। কংগ্রেসের বাঁকুড়া জেলা কার্যালয়ে এসে ফের কাঁধে তুলে নিলেন কংগ্রেসের পতাকা।
বাঁকুড়া জেলার কেঞ্জাকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েত। ভোটের ফলে বেরোলে দেখা যায়, ২১টি আসনের এই গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হয়ে পড়েছে। তৃণমূল পায় ১০টি আসন, বিজেপি ৬, সিপিএম ২, নির্দল ২ ও কংগ্রেস ১ টি আসনে জয়লাভ করে। স্বাভাবিকভাবেই ওই পঞ্চায়েতে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছাতে তৃণমূলের প্রয়োজন ছিল আরও এক জয়ী প্রার্থীর সমর্থন। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী সন্টু চন্দ তৃণমূলের 'মসিহা' হয়ে ওঠেন। তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। পরে ওই পঞ্চায়েতের আরও এক নির্দল প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পঞ্চায়েতে শাসকদলের বোর্ড গঠন ছিল শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
বৃহস্পতিবার ওই দুই জনের হাত ধরে ত্রিশঙ্কু কেঞ্জাকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। পুরস্কার হিসাবে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সন্টু চন্দ পান উপ প্রধানের পদ। কিন্তু, বোর্ড গঠনের ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই শুক্রবার সন্ধ্যায় কংগ্রেসের বাঁকুড়া জেলা কার্যালয়ে গিয়ে ফের দলের পতাকা তুলে নেন সন্টু বাবু। তাঁর দাবি, চাপের মুখে পড়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু, মনের দিক থেকে তিনি কখনোই কংগ্রেস ছেড়ে যাননি। তাই আবার তিনি কংগ্রেসেই ফিরছেন।
বিষয়টিকে সন্টু চন্দর 'ঘর ওয়াপসি' বলে মানতে নারাজ কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, এটা ভুল সংশোধন। তৃণমূল নেতৃত্ব বিষয়টি জানা নেই বলে এড়ানোর চেষ্টা করেছেন। তবে এমনটা হয়ে থাকলে দল নিশ্চিতভাবেই ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তাঁরা।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ঘিরে নানা রকমের ছবি সামনে আসছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। কোথাও বিরোধী দল থেকে তৃণমূলে যোগদান, তো কোথাও বোর্ড গঠনের আগে বিরোধী দলের জয়ী প্রার্থীকে পুরনো মামলার গ্রেফতারি ঘিরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।