পূর্ণেন্দু সিংহ,বাঁকুড়া: দ্বারকেশ্বর নদে (Dwarkeswar River) স্নান করতে নেমে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ মহিলা। চলছে তল্লাশি।ফের দ্বারকেশ্বর নদে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল এক মহিলা (Lady)। ঘটনা বাঁকুড়ার দ্বারকেশ্বর নদের কেঞ্জাকুড়া সঞ্জীবনী ঘাটের।


পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় কেঞ্জাকুড়া গ্রামের বছর ৩৯ -র সীমা দত্ত নামে এক মহিলা স্নান করতে গিয়েছিলেন দ্বারকেশ্বর নদের ওই ঘাটে। এরপরে দ্বারকেশ্বর নদের স্রোতে তলিয়ে যান তিনি। তারপর থেকে তাঁর আজ খোঁজ পাওয়া যায়নি। সকাল ৮ টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে উদ্ধার কার্য্যে নামে স্থানীয় মানুষ। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিভিল ডিফেন্স ও বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। নিখোঁজ মহিলার খোঁজে নদী বক্ষে চলছে জোরদার তল্লাশি।প্রসঙ্গত, দ্বারকেশ্বর নদের জলের তোড়ে এবার ভেঙে পড়ে বাঁকুড়ার ভাদুল সুরপানগর কজওয়ে। গতকাল থেকেই ওই কাজওয়ের ওপর দিয়ে নদের জল বইতে শুরু করে। আজ সকালে কজওয়ের একাংশ ভেঙে পড়ায় ওই সেতু দিয়ে  ভাদুল সুরপানগর যোগাযোগ  বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।


এদিকে, দ্বারকেশ্বর নদের এক পাড়ে রয়েছে বাঁকুড়া শহর। অন্য পাড়ে রয়েছে ভাদুল, সুরপানগর, সোনাতপল, বালিয়াড়া সহ দশ বারোটি গ্রাম। এই গ্রামগুলির মানুষকে বাজার হাট থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ অফিস-আদালত সহ বিভিন্ন কাজে  প্রতিদিন নিত্য  যাতায়াত করতে হয় বাঁকুড়া শহরে। বাঁকুড়ার শহরের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা সবজির একটা বড় অংশও আসে ওই গ্রামগুলি থেকে। যাতায়াতের সুবিধার জন্য আজ থেকে কয়েক বছর আগে ভাদুল ও সুরপানগরের মাঝে দ্বারকেশ্বর নদের ওপর একটি কজওয়ে তৈরি করে রাজ্য সরকার। প্রতিবছর বর্ষায় সেই কজওয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বর্ষা পেরোলেই ফের কজওয়ে মেরামতি করে তা দিয়ে যাতায়াত শুরু হয়।


আরও পড়ুন, ঘুলঘুলি ভেঙে হাওড়ার কালী মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরি


চলতি বছর এতদিন পর্যন্ত ওই কাজওয়ের ওপর দিয়ে যাতায়াত করছিলেন দারকেশ্বর নদের অপর পাড়ে থাকা  গ্রামগুলির মানুষেরা। বুধবার থেকে বাঁকুড়ায় নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় জল বাড়তে শুরু করে দ্বারকেশ্বর নদে। গতকাল দ্বারকেশ্বর নদের জল স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই কজওয়ের এর একাংশ ডুবে যায়। আজ সকালে দেখা যায় ওই কজওয়ের একাংশ জলের তোড়ে ভেঙে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি কজওয়ে ভেঙে পড়ায় এখন বাধ্য হয়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বাঁকুড়া শহরে তাঁদের যাতায়াত করতে হবে।  স্বাভাবিক ভাবেই চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন ওই গ্রামগুলির মানুষ। তাঁদের দাবি সমস্যার স্থায়ী সমাধানে অবিলম্বে দ্বারকেশ্বর নদের ওপর ভাদুল ও সুরপানগর এর মাঝে উঁচু পাকা সেতু তৈরী করা হোক।