সুনীত হালদার, হাওড়া: হাওড়ার ব্যাঁটরা থানা এলাকার কালি কুন্ডু লেনের একটি প্রাচীন কালী মন্দিরে (Kali Temple) বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার ভোর পাঁচটা নাগাদ ওই মন্দিরের পুরোহিত পুজো করতে এসে বিষয়টি জানতে পারেন।


প্রণামীর নগদ বাক্স এবং রুপো ও সোনার গয়না মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার চুরি


প্রাচীন এই কালীমন্দিরে দক্ষিণাকালীর সোনার গয়না, রুপোর গয়না সহ প্রণামী বাক্সের নগদ টাকা চুরি হয়। তবে মন্দিরের বাইরে সিসিটিভি থাকলেও মন্দিরের গর্ভগৃহে কোন সিসিটিভি না থাকায় চুরি ক্যামেরাবন্দি হয়নি। মন্দিরের গেটের তালা না ভাঙা হলেও পিছন দিকের জানলার ঘুলঘুলি ভেঙে মন্দিরে চুরি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যাটরা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এর আগে বছর ৩০ আগে একবার মন্দিরের প্রণামী বাক্স চুরি হয়েছিল। সেক্ষেত্রে চুরির কিনারা হলেও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতিকে সনাক্ত করা যায়নি। তবে এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পাকুড়তলা বারওয়ারির মন্দির কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রণামীর নগদ বাক্স এবং রুপো ও সোনার গয়না মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার চুরি হয়েছে। তবে সম্প্রতি হুগলি জেলাতেও একটি চুরি ঘটনা ঘটে।


আরও পড়ুন, 'উনি একা পাপের সঙ্গে যুক্ত নন', পার্থ-র কাছে বাকিদের নাম জানতে চাইলেন দিলীপ


সম্প্রতি হুগলি জেলাতেও মায়ের মন্দিরে একটি চুরি ঘটনা ঘটেছে


হুগলির চুঁচুড়া  পুরসভার ২৭ নম্বর ওযার্ডের দিয়ানজি বাগানের বড় কালী মন্দির থেকে চুরি যায় সোনা ও রুপো-সহ নগদ ছ'হাজার টাকা। মন্দির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের দাবি, চুরি দাওয়া অলঙ্কারের পরিমাণ প্রায় সাত ভরি।   বড় কালী মন্দিরের ঘটনা। চুরির খবর ছড়ানোর পর থেকেই এলাকায় তুমুল চাঞ্চল্য।স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ,  মাঝ রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। নির্দিষ্ট করে বললে, চুরি হয়েছে সম্ভবত রাত দুটোর পর। মন্দিরের দায়িত্বে থাকা হারু ধারার দাবি, 'এর আগে আমাদের এখানে কোনও মন্দিরে চুরি হয়নি। কিন্তু হঠাৎ দেখা গেল আমাদের মন্দিরে মায়ের গলা থেকে সোনার হার, মাথার টিকলি, কানের দুল, নাকের নথ সব উধাও। এমনকী প্রণামির বাক্সটাও গায়েব।' মন্দির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের ধারণা, কোনও দুষ্কৃতীই এর নেপথ্যে। বড় কালী মন্দিরে এত বড় চুরির ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়দের আর্জি একটাই। যে কোনও ভাবে হোক দোষীদের শাস্তি দিক প্রশাসন।