পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: হাতির হানায় (Elephant Attack) বাড়ছে মৃত্যুর ঘটনা। এবার মারমুখী হাতিকে চিহ্নিত করে উত্তরবঙ্গে পাঠানোর তোড়জোড় বন দফতরের। উত্তর বনবিভাগের বড়জোড়া ও বেলিয়াতোড় এলাকায় দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন বনবিভাগ। ঘটনায় মৃত দুই পরিবারের হাতে আর্থিক ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মারমুখী হাতিকে ট্রাকিং করার কাজ শুরু করল বনদফতর। আগামী দুদিনের মধ্যেই মারমুখী হাতিকে ট্রাক করে ধরে উত্তরবঙ্গে পাঠানোর পরিকল্পনা বনবিভাগের। শুরু হয়েছে মারকুটে হাতিটিকে ধরার প্রস্তুতি পর্বও। এদিকে আর যাতে হাতির আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা না ঘটে হাতির দলের উপর বিশেষ নজরদারিরও ব্যবস্থা নিয়েছে বনদফতর।


বাড়ছে মৃত্যুর ঘটনা: বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের বেলিয়াতোড় ও বড়জোড়া এলাকায় রয়েছে ৮০টির বেশি হাতি। মঙ্গলবার রাতে বেলিয়াতোড় ও বড়জোড়া এলাকায় দুটি পৃথক ঘটনায় হাতির আক্রমণে দুজনের মৃত্যু হয়। তাতেই ঘুম উড়েছে বনবিভাগের কর্তাদের। মঙ্গলবার রাতে বড়জোড়া রেঞ্জের ঝরিয়া গ্রামে বাড়ির দেওয়াল ভেঙে ঢুকে হাতি আক্রমণে প্রাণ গিয়েছে এক বৃদ্ধার। যা আরও বেশি করে চিন্তা বাড়িয়েছে বন দফতরের। হাতিটি যেভাবে আক্রমণ করছে তাতে ওই হাতির আচরণও বনদফতরের মনে সন্দেহ তৈরি করেছে। দলের মধ্যে থেকেই এই হাতি ফের হামলা চালাতে পারে বলেও মনে করছেন বনদফতরের কর্তারা। তাই ওই হাতিকে ক্লোজ নজরদারির মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।


পাশাপাশি ওই হাতিটিকে ট্র্যাক করে আগামী দুদিনের মধ্যে ধরে উত্তরবঙ্গে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বেলিয়াতোড় ও বড়জোড়া এলাকায় স্বাভাবিক ভাবেই হাতিগুলির দিকে বিশেষ নজরদারি রাখছে টিম গজমিত্র হুলা পার্টি সহ বনদফতরের কর্মীরা। হাতির আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা ঠেকাতে বনদফতর পুলিশ প্রশাসন একজোট হয়ে আসরে নেমেছে। সাধারণ মানুষকেও হাতির রাস্তায় রাতে যাতায়াত ও হাতি এলাকায় প্রবেশ করলে বনদফতরকে সহযোগিতা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বনবিভাগের তরফ থেকে।


হাতির হানায় মৃত্যুর ঘটনায় মৃত দুই পরিবারের হাতে বৃহস্পতিবার তুলে দেওয়া হয় ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এছাড়াও আর বেশ কিছু সাহায্য তুলে দেওয়া হয়। এদিন বনবিভাগের কর্তা আধিকারিকরা, মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি ও জেলাশাসকের উপস্থিতিতে তুলে দেওয়া হয় ক্ষতিপূরণ। দুই পরিবারকে দেওয়া হয়েছে চাকরিও আশ্বাসও। এদিকে এলাকায় দুই হাতির মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে এলাকায় মানুষজন। হাতির ভয়ে বাইরে বেরনো ও রাতের ঘুম ছুটেছে হাতি উপদ্রুপ এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের।


আরও পড়ুন: Jakir Hossain:'এভাবে চললে ব্য়বসা বন্ধ করে দিতে হবে,' কোটি কোটি টাকা উদ্ধারে প্রতিক্রিয়া জাকির হোসেনের