তুহিন অধিকারী, জয়রামবাটি: বাঁকুড়ার (Bankura) জয়রামবাটি শ্রী সারদা মায়ের জন্মস্থান। নতুন বছরের প্রথম দিন মায়ের মন্দিরে পুজো দেন ভক্তরা। মঙ্গলকামনায় মাতৃ মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রার্থনায় অংশ নেন পুণ্যার্থীরা।


মায়ের মন্দিরে পুজো: বছরের শুরুর দিনে মা সারদার পবিত্র জন্মভূমি জয়রামবাটিতে উপচে পড়ল পুণ্যার্থীদের ভিড়। সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আসতে শুরু করেন মাতৃমন্দিরে। সারা বছরই মায়ের এই পবিত্র জন্মস্থানে আনাগোনা করেন ভক্তরা। কিন্তু বছর শুরুর দিনটি বিশেষ দিন। বছরভর পরিবার পরিজনের মঙ্গলকামনায় এদিন অসংখ্য মানুষ জয়রামবাটিতে এসে হাজির হন এবং পুজো দেন। 


রাজ্যজুড়ে উৎসবের মেজাজ: শুধু জয়রামবাটিই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন মন্দির থেকে দর্শনীয় স্থান, সব জায়গাতেই বছরের প্রথম দিন উপচে পড়া ভিড়। কল্পতরু উৎসব উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই কাশীপুর উদ্যানবাটিতে ভক্ত সমাগম। ১৮৮৬ সালের পয়লা জানুয়ারি কাশীপুর উদ্যানবাটিতে শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তদের আশীর্বাদ করে বলেছিলেন, ‘তোমাদের চৈতন্য হোক’। এরপর থেকেই প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনে পালিত হয়ে আসছে কল্পতরু উৎসব। নতুন বছর যাতে মঙ্গলময় হয়, সে জন্য বছরের প্রথম দিনে ভক্তরা এসেছেন পুজো দিতে। কাশীপুর উদ্য়ানবাটির তরফে জানানো হয়েছে, তিনদিন ধরে কল্পতরু উৎসব চলবে। কাশীপুর উদ্যানবাটির মতো দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দিরেও সকাল থেকে পুণ্যার্থীদের ভিড়। মঙ্গলারতি দিয়ে পুজোর সূচনা হয়েছে। এরপর রীতি মেনে মায়ের পুজো হবে। বছরের প্রথম দিন মায়ের দর্শন পাওয়ার আশায় ভোর থেকে লাইন দিয়েছেন ভক্তরা।                            


নতুন বছরের প্রথম দিনে বেলুড় মঠেও ভক্তদের ভিড়। চারদিকে পিকনিকের মেজাজ। একদিকে, রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ-শ্রী সারদা মাকে দর্শন, এরপর ভোগ খেয়ে, উৎসবের মেজাজে কাটানো বাকি দিনটা। নতুন বছরে প্রথম দিনে তারাপীঠে উপচে পড়া ভিড়। সারা বছর ভালো ভাবে কাটুক, এই কামনায় বছরে তারা মায়ের কাছে পুজো দিচ্ছেন ভক্তরা। পুজোর ডালা নিয়ে লম্বা লাইনে অপেক্ষা করছেন পুণ্যার্থীরা। ভোরে মায়ের মঙ্গলারতি দিয়ে বছরের প্রথম দিনে তারাপীঠে পুজো শুরু হয়েছে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Firhad Hakim: চাকরি দিয়ে টাকা নেওয়া আর মায়ের মাংস কেটে খাওয়া সমান: ফিরহাদ হাকিম