পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: হাত দিয়ে টানাটানি করলেই উঠে আসছে পিচ। বেশি চলাফেরা করলেই ভেঙে যায় রাস্তা। রাস্তার মান নিয়ে এমনই নানা অভিযোগ উঠেছে। বাঁকুড়ার সিমলাপালের সেই রাস্তা তৈরি হয়েছে পথশ্রী প্রকল্পের অধীনে। ফলে তাতে জড়িয়েছে রাজনীতিও। একদিকে খারাপ রাস্তা নিয়ে তৃণমূলকে (TMC) নিশানা করেছে বিজেপি (BJP)। অন্যদিকে পাল্টা কেন্দ্রের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। রাজনৈতিক তরজা যাই হোক। রাস্তার হাল নিয়ে তুমুল ক্ষোভ ছড়িয়েছে সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যে।


নামেই পিচের রাস্তা, আদতে কাঁচা রাস্তার উপর আলগা পিচের আস্তরণ। বাঁকুড়ার (Bankura) সিমলাপালের মাচাতোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শুশুনিয়া মোড় থেকে কাঁসাচরা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। সেই গোটা রাস্তার পরিস্থিতি এমনটাই। পথশ্রী (Pathasree) প্রকল্পের রাস্তার এমন দশা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। রাস্তা (Bad Road Condition) এভাবে কেন তৈরি করা হবে তা নিয়ে তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাসিন্দারা। সিমলাপালের বাসিন্দা মধুসূদন পাণ্ডা বলেন, 'পথশ্রী যদি হত তা হলে তো হাতে উঠে যেত না। তা হলে গাঁইতি দিয়ে তুলতে হতো। পকেটশ্রী পকেট। ডান পকেট বাঁ পকেটের শ্রী।'


নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে। হীরাবাঁধের বাসিন্দা কৃষ্ণ গোপাল মিত্র বলেন, 'রাস্তা আমাদের উঠে যাচ্ছে। যখন বলতে যাচ্ছি ঠিক হচ্ছে। আমি বললাম ৩০ পারসেন্ট জল আছে ৭০ পারসেন্ট তেল আছে।'


আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। নানা জেলা থেকেই পথশ্রী প্রকল্পে হওয়া রাস্তা নিয়ে অভিযোগ সামনে আসছে। X- হ্যান্ডেলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লিখেছিলেন, 'তোলামূলী কাটমানির ব্যাধির দরুণ প্রকল্পের নতুন নামকরণ শিগগিরই হয়ে যাবে ''হতশ্রী''। বিষয়টি নিয়ে তোপ দেগেছেন বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, 'রাস্তাটা শুধুমাত্র দুর্নীতি করার জন্য করছে। সাধারণ মানুষের চলাফেরা করার জায়গা একেবারে বেহাল অবস্থায় রয়েছে।'


 






তালডাংড়া তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী বলেছেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব গ্রামীণ রাস্তা করার। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা বলে একটা প্রকল্প আছে।' সব মিলিয়ে, বাঁকুড়ায় রাস্তা নিয়ে রাজনীতি অব্যাহত। 


আরও পড়ুন: ইটাহারে তৃণমূল কর্মীর পর রায়গঞ্জে সরকারি কর্মী, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে 'জোড়া খুন' উত্তর দিনাজপুরে