পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: একুশ শতকেও শিউরে ওঠা ঘটনা ঘটল বাঁকুড়ায় (Bankura)। রীতিমতো পার্ক স্ট্রিটের (Park Street) রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ডের ছায়া। সেখানে যেমন দিদিকে আগলে রেখেছিলেন ভাই। এখানে ভাইয়ের দেহ আগলে রইলেন দাদা-বৌদি। এদিকে বাড়িময় তখন পচাগলা দেহের গন্ধ! এই মৃত্যু নিয়ে যদিও ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ (Police)। 


কী জানা গিয়েছে? 


স্থানীয় সূত্রে খবর, বাঁকুড়া শহরের দোলতলায় দাদা-বউদির সঙ্গে থাকতেন বছর ছাপ্পান্নর সনৎ কর্মকার। গতকাল ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। পরে পুলিশ এসে বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ভাইয়ের মৃতদেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অন্তত ২ দিন আগে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। যদিও মৃতের দাদার দাবি, গতকাল দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ভাইয়ের। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। 


যদিও এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগে পাটুলিতে মৃত ছেলের দেহ আগলে থাকার খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। শুক্রবার বিকালে পাটুলি থানা এলাকার অশোক রো এলাকার বাসিন্দারা একটি বাড়ির পাশ থেকে তীব্র গন্ধ পান। বাড়ির সদস্যদের ডাকাডাকি করার পর স্থানীয়দের সন্দেহ দানা বাঁধে। এরপরই খবর গিয়ে পৌঁছে পাটুলি থানায়।                                                                                           


আরও পড়ুন, মূল্যবৃদ্ধির ঝাঁঝে হেঁশেলে পা রাখাই দায়, কলকাতায় হাজারের গণ্ডি ছাড়াল LPG-র দাম    


পুলিশকর্মীরা বাড়ির ভেতর পৌঁছতেই দেখতে পান এক যুবকের দেহ পড়ে রয়েছে। আর পাশে রয়েছে বাবা-মা ও বোন। পুলিশ সূত্রে জানা যায় ,ওই বাড়ি ছেলে প্রিয়ঙ্কর রায় (৩৫) মৃত অবস্থায় বাড়ির একতলায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন,আর তারই আশপাশে রয়েছেন পরিবারের অন্য সদস্যরা। বাবা ও মা পুলিশকে জানান তার ছেলে অসুস্থ কিছুদিন পর সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু ছেলে যে মৃত তা মানতেই চাইছেন না বাবা-মা। কথাতে অসংলগ্নতা দেখতে পান তদন্তকারীরা, স্বাভাবিক ব্যবহার করছিলেন না তাঁরা। বাবা- মা ছাড়াও একই বাড়িতে উপস্থিত বোনের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা।