পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: বাঁকুড়া শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় এক বাসিন্দার জমি লাগোয়া ও রাস্তার সরকারি জমিতে জোর করে তৃণমূলের পার্টি অফিস তৈরি করার অভিযোগ উঠল দলের ওয়ার্ড সভাপতি উজ্জল দাসের বিরুদ্ধে।
বাঁকুড়া পৌর এলাকার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড লোকপুর এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা বরেন গরাইয়ের অভিযোগ, তাঁর জমির সামনের দিকে রাস্তার পাশে স্থানীয় তৃণমূল ওয়ার্ড সভাপতি জোর করে একটি পার্টি অফিস তৈরি করার কাজ শুরু করেন। বরেন গরাই বাধা দিতে গেলে পুলিশ ও প্রশাসনের হুমকি দেখানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। স্থানীয় তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি উজ্জল দাসের বিরুদ্ধে এই নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক তরজা।
বরেন গরাইয়ের অভিযোগ, তৃণমূলের পক্ষ থেকে জোর জবরদস্তি করে পার্টি অফিস তৈরি করছে । এর মধ্যে আমাদের পাড়ার বেশ কিছু ছেলে আছে। আমরা কী করব? পার্টির তো অনেক লোক। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের বিরুদ্ধে দলের পতাকা খুলে ফেলার অভিযোগ করছেন। কিন্তু পুরোটাই মিথ্যা। আমরা কোন দলীয় পতাকা খুলে ফেলিনি। আমার জমি রয়েছে, আমার জমির সামনে ওরা পার্টি অফিস তৈরি করছে। ফলে আমার জমির সামনেটা ব্লক হয়ে যাচ্ছে।
তৃণমূল ওয়ার্ড সভাপতি উজ্জ্বল দাস জোরজবরদস্তির অভিযোগ খারিজ করেছেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, দলীয় পতাকা ফেলে দিয়েছেন ওঁরা। ওঁদের যদি জায়গা থাকে, আমাদের সঙ্গে এসে কথা বলতে পারেন। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। কিন্তু দলীয় পতাকা কেউ ফেলে দিলে তা মেনে নিতে পারব না।
অন্যদিকে, বিজেপি রাঢ়বঙ্গ জোনের কনভেনার পার্থ কুণ্ডু এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, লোকের জায়গার সামনে সরকারি জায়গায় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে শাসক দল পার্টি অফিস তৈরি করছে। সেখানে মালিক বাধা দিতে গেলে তাঁকে পুলিশ প্রশাসনে ভয় দেখিয়ে তাকে চুপ করিয়ে রাখা হচ্ছে। এ ধরনের কাজকর্মের উপযুক্ত জবাব আগামী পুর নির্বাচনে মানুষ দেবেন বলেও তিনি দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নামবেন তাঁরা।
বাঁকুড়া পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য গৌতম দাস বলেছেন, যাঁর জায়গা সেই মালিক যদি অভিযোগ করেন বা এলাকার কোনও মানুষ যদি অভিযোগ করেন যে, রাস্তা দখল করে পার্টি অফিস তৈরি করা হচ্ছে, তাহলে আমরা কথা দিচ্ছি পুরসভার পক্ষ থেকে অভিযোগ সত্যি হলে তাহলে দোষীর শাস্তি হবে। আইন আইনের পথে চলবে। বিরোধীরা অনেক কথা বলবে, বিজেপির এখন মাথা খারাপ হয়ে গেছে পাগল হয়ে গেছে। ওদের দলের কোনো অস্তিত্ব নেই। বিজেপির কথা পশ্চিমবাংলার মানুষ কোনও গুরুত্ব দেয় না।