সোনামুখী, তুহিন অধিকারী : "যদি বাপের বেটা হয়ে থাকিস তবে সোনামুখীতে (Sonamukhi) একবার পা দিয়ে দেখা। যদি পা দুটো ভেঙে দিতে না পারি তবে তৃণমূল করা ছেড়ে দেব।" আজ এই ভাষাতেই বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-কে (BJP MP Soumitra Khan) হুঁশিয়ারি দিলেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সোমনাথ মুখোপাধ্যায়।


রাজ্যজুড়ে বাড়ছে গরম। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। কোনও ইস্যু সামনে এলেই এক দল অপর দলকে নিশানা করতে পিছপা হচ্ছে না। এবার সোনামুখীর মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকায় ২০০টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রায় তিন কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী টানাপোড়েন। 


এর আগে গোষ্ঠীর এই মহিলাদের নিয়ে মিটিং মিছিল করেছে সিপিআইএম এবং বিজেপি। সেখানে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। মহিলাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার। এবার সেই মহিলাদের নিয়ে মানিকবাজার গ্রামে প্রতিবাদ সভা করল তৃণমূল। প্রতিবাদ মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সোমনাথ মুখোপাধ্যায় সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "সৌমিত্র খাঁ যদি বাপের বেটা হয়ে থাকিস তবে সোনামুখীতে একবার পা দিয়ে দেখা। যদি পা দুটো ভেঙে দিতে না পারি তবে তৃণমূল করা ছেড়ে দেব।"


এমনকি গোষ্ঠীর মহিলাদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আজকের তারিখটা লিখে রাখুন। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রকৃত দোষীদের যদি শাস্তি দিতে না পারি তাহলে মেনে নেব আমরা চুরি করেছি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যারা টাকা চুরি করেছে তাদের যদি শ্রীঘরে না ঢোকাতে পারি তাহলে আমি তৃণমূল কংগ্রেস করা ছেড়ে দেব। আর যদি আমরা দোষী হয়ে থাকি জনতা জনার্দন আদালত আপনারাই, জুতোপেটা করবেন আমাদের।"


তিনি আরও বলেন, "এই মানিকবাজারে একটা ভেকধারী তৃণমূল কংগ্রেস আছে। আজ আমি তার নাম করছি না। ওপরে তৃণমূল, ভেতরে পদ্মফুল। কিছু মহিলাকে ভুল বোঝাচ্ছিল। আমি বলছি, সেই নেতাগুলোকে বিশ্বাস করবেন না। সেই নেতাটাকে আমরা ধরে ফেলেছি। মানুষের কাছে তৃণমূল সেজে আছে। আর গোপনে গোপনে সৌমিত্র খাঁ-কে টেলিফোন করছে।"


একই মঞ্চ থেকে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি সুব্রত দত্ত স্টেজে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একাধিক নথি হাতে নিয়ে দাবি করেন, সৌমিত্র খাঁ-র নামে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। কোথাও চাকরির নামে টাকা খেয়েছেন, কোথাও বা সেবা মিশন সংস্কার করার নাম করে টাকা খেয়েছেন। এমনকি বালি চুরির অভিযোগ রয়েছে। রয়েছে পিস্তল রাখার অভিযোগ।