পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার তালডাংরায় দলীয় কর্মীদেরই ক্ষোভের মুখে জয়প্রকাশ মজুমদার। তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ দলীয় কর্মীদের একাংশের। "আপনাদের জিতিয়েছি, চাইলে হারিয়েও দিতে পারি।'' অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তৃণমূলকর্মীদের একাংশের বিক্ষোভ। 'পুরনো কর্মী, হয়তো অসুবিধে হচ্ছে, বিষয়টি দেখছি,' মন্তব্য জয়প্রকাশের (Joyprakash Majumder)। 


দলীয় কর্মীদেরই ক্ষোভের মুখে জয়প্রকাশ: দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে এবার নিজের দলের কর্মীদেরই একাংশের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারকে। এদিন বাঁকুড়ার তালডাংরা বিধানসভা এলাকার জিরাবাইদ গ্রামে দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন। দলীয় কর্মীদের একাংশ শুধু তাঁকে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানালেন তাই নয়,  দলীয় প্রার্থীকে হারিয়ে দেখানোর হুঁশিয়ারিও দিলেন। এদিন কর্মসূচি শেষে জয়প্রকাশের গাড়ির ঘিরে স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন দলীয় কর্মীরা।                                                                                                                                     


এদিকে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে গিয়ে ফের দুর্নীতির অভিযোগ শুনতে হল তৃণমূলের জন প্রতিনিধিদের। সাংসদ থেকে বিধায়ক, বাদ গেলেন না রাজ্যের মন্ত্রীও।বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর-জয়পুর এলাকায় যান দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এবং আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমান। সাংসদকে কাছে পেয়ে অভিযোগ জানাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা।এরপর বেরিয়ে যাওয়ার সময়ও সৌগত রায়ের গাড়ি আটকে ক্ষোভ জানাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। আমডাঙার বিধায়কের সামনেও ক্ষোভ উগরে দেন মহিলারা। এরপর দলীয় অফিসেও সৌগত রায়ের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন বাসিন্দারা। একজনকে উদ্দেশ্য করে হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যায় আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ককে। দেগঙ্গার তৃণমূল বিধায়ক রহিমা মণ্ডলকে নিয়ে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যান উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাধিপতি বীণা মণ্ডল। বিধায়ককে দেখেই রাস্তার নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা।


আরও পড়ুন: Kuntal Ghosh: কারা আসতেন কুন্তলের কাছে? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তথ্য তলব সিবিআইয়ের