সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: আচমকা বিরাট বিস্ফোরণ! কানে তালা লাগার জোগাড় এলাকাবাসী। কী হল, কোথায় হল, খুঁজতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ। দাউ দাউ করে জ্বলছে দোকান। চতুর্দিকে ছড়িয়ে জিনিসপত্র।
সোনার তৈরি করার কারখানায় আচমকা বিস্ফোরণ বারাসতের গোবিন্দ ব্যারাকে। এই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন তিন জন শ্রমিক। এঁদের মধ্যে একজন নাবালক। আহতদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিনজনের মধ্যে দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। বুধবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত শহরের হরিতলা এলাকা সংলগ্ন এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসত শহরের হরিতলা এলাকায় একাধিক বড় বড় সোনার দোকান। প্রতিদিনই দোকানগুলিতে মানুষের ভিড় থাকে। অন্যদিনের মতো বুধবার রাতেও কাজ চলছিল দোকানে। সেই সময় আচমকা একটি দোকানে ছোট এলপিজি সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ হয়।
বাংলায় পর পর বিস্ফোরণ
সম্প্রতি পর পর বিস্ফোরণে বারংবার কেঁপে উঠেছে বাংলার একাধিক প্রান্ত। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তুমুল হট্টগোল। নদিয়ার কল্যাণীতে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের পর পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে ভয়াবহ বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছিল বাড়ির ছাদ। ভেঙে পড়ল একটা আস্ত বাড়ি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল মজুত বোমা থেকেই বিস্ফোরণ হয়।
এখন প্রশ্ন উঠছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটি। মহেশতলা থেকে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর। গত প্রায় ২ বছরে কোথাও বেআইনি বাজির কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে। আবার কোথাও বেআইনিভাবে মজুত করে রাখা বাজি থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এত ঘটনার পরেও রাজ্য সরকার কি চোখে ঠুলি এঁটে বসে আছে? আর কত বিস্ফোরণ ঘটলে তবে প্রশাসনের ঘুম ভাঙবে?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে