বারাসত: নাবালক খুনের ঘটনার পর ছেলেধরা নিয়ে গুজবের জেরে (Child theft rumors) মহিলা সহ তিনজনকে গণপিটুনি দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরগরম বারাসত (Barasat Mass beaten)। এবার গুজবের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রচার (Police Campaign) করলেন স্বয়ং জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝারখারিয়া। যেখানে পুলিশের সামনেই ওই মহিলাকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল সেখানেও রাস্তায় নেমে গুজব রুখতে প্রচার চালাতে দেখা গেল তাঁকে। এই বিষয় নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বললেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। গুজবের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্যই সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানান তিনি। বুধবারই সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশ সুপার জানিয়ে ছিলেন, কাজী পাড়ায় যা ঘটেছে তা ছিল একটি খুনের ঘটনা। এর সঙ্গে ছেলেধরার কোনও সম্পর্ক নেই। সাধারণ মানুষের কাছে অপপ্রচারে কান না দেওয়ার আবেদনও করেছিলেন।
আরও পড়ুন: Weather Update: টানা তিনদিন দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় গ্রুপ তৈরি করে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রুপ অ্যাডমিন পায়েল তালুকদার ও প্রীতম মিস্ত্রিকে গ্রেফতার করেছে বারাসাত থানার পুলিশ। বারাসতের কাজী পাড়ায় একটি নাবালকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পরেই বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়াতে আরম্ভ করে। বলা হয় এটা ছেলে ধরার কাণ্ড। পুলিশের তরফে একে ভিত্তিহীন বলে জানানো হলেও গুজবের জেরে বুধবার বারাসতের দুটি জায়গা এক মহিলা সহ তিনজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। যার জেরে তিনটি মামলা দায়ের করে ১৭ জনকে গ্রেফতার করে বারাসত পুলিশ।
তাদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে বারাসতের একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে তথ্য পেয়েই তারা বিভ্রান্ত হয়। তার ভিত্তিতেই ওই গ্রুপের অ্যাডমিন এক মহিলা সহ দু-জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পাশাপাশি চার-পাঁচটি ফেসবুক গ্রুপের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও রুজু করা হয়েছে। ছেলেধরার গুজব ছড়ানোর পর থেকেই সোশাল মিডিয়ায় গুজব রুখতে পুলিশের তরফে সতর্কবার্তা জারি করা হয়। কিন্তু, তাতে কাজ না হওয়ায় এবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হচ্ছে পুলিশ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: 'ভোট কেটে তৃণমূলকে জিততে সাহায্য করেছে CPM', নয়া দাবি শুভেন্দুর, এল পাল্টা জবাবও