রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: সিঙ্গুর (Singur) জমি আন্দোলনে পুলিশের দায়ের করা মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না সহ ৩১জন। বিধাননগরে (Bidhannagar) সাংসদ-বিধায়কদের বিশেষ আদালতে আজ তাঁদের ৬৮টি মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অন্যদিকে, নানুরে ২০১০ সালে লুঠপাট ও অপরহণ মামলায় নিষ্কৃতি পেয়েছেন কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) শেখ শাহনওয়াজ সহ ৭৭ জন।


দেউচা পাঁচামিতে ৩০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে বলে ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই ঘোষণার দিনই সিঙ্গুর মামলায় মন্ত্রী বেচারাম মান্না-সহ ৩১ জন বেকসুর খালাস হলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,  শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, “আমরা যে নির্দোষ, তা প্রমাণ হয়ে গেল। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছিল।‘’


২০০৬ সালে হুগলির সিঙ্গুরে টাটা গোষ্ঠীর গাড়ি কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু করে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার। কৃষকদের চাষের জমি জোর করে ছিনিয়ে নেওয়া যাবে না। এই দাবি তুলে জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতায় আন্দোলন শুরু করেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনে সামিল হন কৃষক নেতা বেচারাম মান্না সহ সিঙ্গুরের বাসিন্দাদের একাংশ। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। ২০০৬ সালের অগাস্ট মাসে পুলিশের তরফে দায়ের করা একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় বেচারাম মান্না সহ কৃষকদের একাংশের বিরুদ্ধে প্রস্তাবিত কারখানা এলাকায় ইচ্ছাকৃত ভাবে গন্ডগোল পাকানোর অভিযোগ আনা হয়। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার বিধাননগরে সাংসদ-বিধায়কদের জন্য তৈরি বিশেষ আদালতে ছিল সিঙ্গুর মামলার শুনানি।  সেখানেই ৬৮টি মামলা থেকে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না সহ ৩১ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।


অন্যদিকে, এদিনই বীরভূমের নানুরের জলোন্দি গ্রামে ২০১০ সালে দু’জনকে অপহরণ ও লুঠপাটের মামলায় বেকসুর খালাস হয়েছেন কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ সহ ৭৭ জন। নানুরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা  কাজল শেখ বলেন, “আমার দাদা শেখ শাহনওয়াজ কেতুগ্রামের বিধায়ক। তাই এই আদালতে আসি। ৩টে বাদ দিয়ে বাকি সব মামলায় রেহাই মিলেছে।’’ এদিন বিধাননগরের আদালতে এসেছিলেন উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর বিধায়ক স্ত্রী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া সতীর্থদের অভিনন্দন জানান তাঁরা।