কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : পঞ্চায়েত ভোটকে ( Panchayat Poll )  সামনে রেখে, তেতে উঠতে শুরু করেছে গ্রাম বাংলার রাজনীতি ( West Bengal Politics ) ! স্ট্র্যাটেজি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে শাসক-বিরোধী, দু-পক্ষই! পঞ্চায়ের ভোটের দিনক্ষণ স্থির হয়নি। তবে আগে থেকেই তৈরি থাকতে চায় ঘাসফুল শিবির। তড়িঘড়ি কালীঘাটে ( Kalighat )  ওয়ার্কিং কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata Banerjee ) । জানা যাচ্ছে আগামী শুক্রবার কালীঘাটেই হবে বৈঠক। হাজির থাকবেন সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ( Abhishek Banerjee ) । 


সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হল ভোটের আগে স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণ। 'বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও রণকৌশল ঠিক করতে বৈঠক' ডেকেছেন তৃণমূল নেত্রী, এমনটাই খবর সূত্রের। জানা গিয়েছে, বৈঠকে হাজির থাকতে ফোন গিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। 

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হচ্ছে একের পর এক তৃণমূল নেতা। হেলিওয়েট মুখ থেকে যুব নেতারা এখন এজেন্সির জালে। পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার রাজ্যের শাসক দল। এই পরিস্থিতিতে দুর্নীতি-হাতিয়ারে রোজই শান দিচ্ছেন বিরোধীরা। তাই পঞ্চায়েতের আগে পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং। 


">



এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি, নবান্নে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যসচিব নির্দেশ দেন, এক মাসের মধ্যে বকেয়া কাজ শেষ করুন। যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, তা উন্নয়নের কাজে খরচ করুন।  সূত্রের খবর ছিল, এপ্রিল মাসের শেষের দিকে পঞ্চায়েত ভোট করাতে চাইছে রাজ্য সরকার। সেই পরিস্থিতিতে, মুখ্যসচিবের বার্তা, আগামী ১ মাসের মধ্য়ে কাজ শেষ করুন।


কিন্তু কবে হবে পঞ্চায়েত ভোট? তা এখনও অনিশ্চিত। কারণ শুভেন্দু অধিকারীর করা জনস্বার্থ মামলায় পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার ওপর ফের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ৯ মার্চ পর্যন্ত করা যাবে না ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ, জানায় আদালত। গত ১ মার্চ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা জনস্বার্থ মামলায়, বুধবার পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার ওপর  অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও ৮ দিন বাড়িয়ে দেয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। ফলে ৯ মার্চ পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ আটকে যায়। পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে একাধিক দাবি নিয়ে, কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

ইতিমধ্যেই সাগরদিঘির উপনির্বাচন হয়েছে। ফল শাসক দলের বিপক্ষে গিয়েছে। ২২ হাজার ৯৮০ ভোটে আসনটিতে জয় পান বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। এই হার নিঃসন্দেহে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের মাথা ব্যথা বাড়াবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। যদিও এই বিষয়টি পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করবে বলে প্রকাশ্যে স্বীকার করছে না রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূলের পরাজয়ের নেপথ্যে কাজ করল কোন কোন ফ্যাক্টর? এই আলোচনাও কি উঠে আসবে আজকের বৈঠকে ?