কলকাতা: বড়িশা স্কুলে (Barisha School) সৌরনীল সরকারের স্মরণসভা। বন্ধুর জন্য মন খারাপ সহপাঠীদের। কাঁদছেন প্রধান শিক্ষক-সহ অন্য শিক্ষকরাও। এর মধ্যেই আক্ষেপ করছেন অভিভাবকরা। ছোট্ট সৌরনীলের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর টনক নড়েছে পুলিশের। যান নিয়ন্ত্রণে বেড়েছে তৎপরতা। এই ছবি আগে দেখা গেলে, সৌরনীলের মায়ের কোল খালি হত না, আক্ষেপ অভিভাবকদের।
সৌরনীল সরকারের স্মরণসভা: মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যুর পর, আজ খুলল বড়িশা স্কুল (Barisha School)। লালবাজারের নির্দেশে মেনে এদিন স্কুলের বাইরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পড়ুয়াদের নিয়ে অভিভাবকদের ডায়মন্ড হারবার রোডে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। নির্দিষ্ট জায়গা দিয়ে রাস্তাপারাপার করানো হচ্ছে। স্কুলে যাওয়া-আসার সময় যাতে সকলেই ফুটপাত ব্যবহার করেন, তার ওপর নজর রাখছেন পুলিশ কর্মীরা। অভিভাবকরা বলছেন, এই নজরদারি আগে থাকলে এভাবে প্রাণ যেত না ৭ বছরের ফুটফুটে শিশুর। দুর্ঘটনায় মৃত সৌরনীলের স্মরণসভার আয়োজন করছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের পড়ুয়ারা ছাড়াও উপস্থিত ছিল শিক্ষক, অভিভাবকরা। একরত্তিকে হারিয়ে মনখারাপ সবার। কথা বলতে গিয়ে গলা বুজে আসছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের। এদিন তিনি বলেন, আমি যেন সবার সহযোগিতায় স্কুলকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে পারি।
পথ দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্য়ুর জেরে উদ্যোগ। বেহালা চৌরাস্তা লাগোয়া ১০০টিরও বেশি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা গুমটি দোকানগুলিকে বড় রাস্তা থেকে ২ ফুট ছেড়ে বসতে বলা হয়েছে। গতকাল রাত থেকেই শুরু হয়েছে এই প্রক্রিয়া। যদিও গোটা বিষয়টি পুলিশ মৌখিকভাবে ফুটপাতে ব্যবসায়ীদের জানিয়েছে। বড়িশা হাইস্কুলের সামনে ও বেহালা চৌরাস্তা মোড়ে অস্থায়ী দোকানগুলিকে পুরোপুরি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে শনিবার এলাকা পরিদর্শনে আসেন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তা ও পুর প্রতিনিধিরা। সঙ্গে ছিলেন CESC ও পূর্ত দফতরের অফিসাররা। ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা, জেব্রা ক্রসিং নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ফুটপাতজুড়ে গুমটি দোকান নিয়েও আলোচনা হয়। এরপরই চারদিনের মধ্যে গুমটি দোকানগুলির পরিসর ছোট করে ফেলার জন্য ব্যবসায়ীদের মৌখিকভাবে নির্দেশ দেয় পুলিশ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
আরও পড়ুন: North 24 Parganas Weather: সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ, আজ থেকে বাড়বে বৃষ্টি উত্তর ২৪ পরগনায়