কলকাতা: বেহালার জেমস লং সরণির বহুতলে আগুন (Behala Fire)। পাঁচতলায় ঘরে আগুন লেগে বিপত্তি। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন বলে অনুমান দমকলের। 

ফের শহরের বহুতলে আগুন: গত এক সপ্তাহের মধ্যে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে কলকাতায়। বড়বাজার, চিনার পার্ক, সল্টলেক, নিউটাউনের পর ফের শহরে আগুন লাগল। এবার ঘটনাস্থল বেহালা। এদিন দুপুরে বেহালার বেহালার জেমস লং সরণিতে একটি বহুতলের পাঁচতলা থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকল। প্রাথমিকভাবে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছে। তাদের অনুমান শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই।                              

বড়বাজারে ১৪ জনের মৃত্যুর ক্ষত এখনও দগদগে। এরইমধ্যে ফের অগ্নিকাণ্ড শহরে। এদিকে বড়বাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশ-প্রশাসন। ১৪টা প্রাণ যাওয়ার পর অবশেষে তৎপর হল পুরসভা ও পুলিশ। এবার কলকাতা জুড়ে এবার ৮৩টি রুফটপ রেস্তোরাঁকে চিহ্নিত করে তৈরি করা হল তালিকা। সেই তালিকায় রয়েছে, শেক্সপিয়ার সরণি থানা এলাকায় ১৩টি কসবা থানা এলাকায় ১০টি। রবীন্দ্র সরোবর থানা এলাকায় ৬টি। বালিগঞ্জ ও কড়েয়া থানা এলাকায় ৫টি। ভবানীপুর ও গড়ফা থানা এলাকায় ৪টি। নেতাজি নগর, পর্ণশ্রী, তপসিয়া ও গড়িয়াহাট থানা এলাকায় ৩টি। টালিগঞ্জ, বেহালা, বেনিয়াপুকুর ও ওয়াটগঞ্জ থানা এলাকায় ২টি ও প্রায় ১৬টি থানা এলাকায় একটি করে রুফটপ রেস্তোরাঁর নাম।ইতিমধ্যেই, চিহ্নিত হওয়া এই সমস্ত রুফটপ রেস্তোরাঁর ঠিকানায় নোটিস দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। নির্দেশিকা উল্লেখ করা হয়েছে, খোলা ছাদ কিংবা রুফটপের মিউটেশন স্বীকৃত হবে না। ছাদে যাওয়ার জন্য কোনও রকমের দরজা বা দরজায় লক রাখা যাবে না। সহজে ছাদে যাওয়ার জন্য এবং নীচে নামার জন্য সমস্ত সিঁড়ি খোলা রাখতে হবে৷ করিডর, প্যাসেজ, কিংবা ছাদের কোনও জায়গা আটকে কিছু মজুত করা যাবে না। কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং আইনের, ২০০৯-এর বিধি ১১৭(৪) অনুসারে, যে কোনও বিল্ডিংয়ের সর্বোচ্চ তলায় প্রতিটি ছাদে একটি সাধারণের জন্য খোলা রাখতে হবে। বিল্ডিংয়ের সকলের জন্য খোলা রাখা হবে ছাদটি। নির্দেশিকা না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।