সন্দীপ সরকার, কলকাতা : বেলেঘাটা বিস্ফোরণে (Beleghata Blast) আহতকে রাতের অন্ধকারে এনআরএস থেকে নিয়ে যাওয়া হল তালদি! দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার তালদির এক নার্সিংহোমে আহতকে ভর্তি করালেন আত্মীয়রা। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রোগী লোকমান মোল্লাকে ছেড়ে দেয় তালদির নার্সিংহোমও। যার পর ফের কলকাতায় নিয়ে আসা হল বিস্ফোরণে আহতকে। এসএসকেএমের (SSKM) ট্রমা কেয়ারে নিয়ে যাওয়া হয় আহত লোকমান মোল্লাকে।
বিস্ফোরণে আহতকে এভাবে রাতের অন্ধকারে এনআরএস থেকে কেন সুদূর তালদির বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হল? তারপর ফের তাঁকে কেন ফেরানো হল কলকাতা? সব নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
রোগীর পরিবারকে স্বেচ্ছায় নিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে এনআরএস। চিকিৎসার জন্য প্রোমোটার টাকা দিয়েছে, জানিয়েছে আহতর পরিবার। পাশাপাশি এনআরএসে (NRS Hospital) চিকিৎসা হচ্ছিল না, তাই তালদি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, দাবি আহতর পরিবারের।
সোমবার নির্মাণস্থলে মাটি খুঁড়ছিলেন শ্রমিক। ধাতব জিনিসে কোদাল ঠেকতেই সন্দেহ হয়। পরিষ্কার করতে যেতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ! সোমবার দুপুরে ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী থাকে বেলেঘাটার সরকার বাজারের মিঞাঁ বাগান এলাকা। বিস্ফোরণে হাত উড়ে যায় শ্রমিকের। স্প্লিন্টার ছিটকে গুরুতর জখম আরও এক পথচারী। পুলিশের অনুমান, সকেট বোমা ফেটে এই দুর্ঘটনা।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় বেলেঘাটা থানার পুলিশ। লালবাজারের (Lala Bazar) গুন্ডাদমন শাখার অফিসাররাও সেখানে পৌঁছে যান। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ, সকেট বোমা ফেটে দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, লোকমান মোল্লা নামে এক শ্রমিক মাটি খোঁড়ার করার সময় চকচকে ধাতব বস্তু দেখতে পান। ঠোকাঠুকি করে তা পরিষ্কার করতে যান তিনি। তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের তীব্রতায় ডান হাত উড়ে গিয়েছে লোকমানের। Splinter ছিটকে গুরুতর জখম হয়েছেন তন্ময় ভৌমিক নামে এক পথচারী।
ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নির্মাণ কাজের জায়গায় বোমা কীভাবে এল? মাটির নীচে কে বা কারা রেখেছিল বোমা? প্রোমোটিং বিবাদের কারণেই কি মজুত করা হচ্ছিল বিস্ফোরক? এই সব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে বেলেঘাটা থানা। তার মাঝেই এভাবে আহত শ্রমিকের হাসপাতাল বদল নিয়ে আরও একটু ঘনীভূত হল রহস্য। এখন দেখার নতুন কী তথ্য সামনে উঠে আসে।