ভাস্কর ঘোষ, হাওড়া: আট দিন বন্ধ থাকার পর আজ ভক্ত এবং দর্শনার্থীদের জন্য খুলল বেলুড় মঠ ।


 মঠ সূত্রে খবর, আসন্ন লক্ষ্মী পুজো এবং কালী পুজোয় বেলুড় মঠ নির্দিষ্ট সময় সূচি অনুযায়ী খোলা থাকবে । সকাল ৮ টা থেকে সকাল ১১টা এবং বিকাল ৩.৩০ থেকে ৫ টা পর্যন্ত মঠ খোলা থাকবে।  সম্পূর্ণ কোভিড বিধি মেনে ভক্তরা প্রবেশ করতে পারবেন ।  তবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী  ৯ এবং ১০ নভেম্বর ছট পুজায় মঠ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। 


করোনা (Coronavirus) আবহে, গতবারের মতো এবছরও দুর্গাপুজোয় দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ ছিল বেলুড় মঠ (Belur Math)।  এবার মহালয়ায় তর্পণ করা যায়নি বেলুড় মঠে। চতুর্থ থেকে একাদশী পর্যন্ত মঠে ভক্তদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। মঠ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, ১০ নভেম্বর ছটপুজোয় স্নান করা যাবে না বেলুড় মঠের ঘাটে। দুর্গাপুজোতেও মঠে প্রবেশের অনুমতি ছিল না।  গত বছরের মতো এবারও মঠের ওয়েবসাইট ও ইউটিউবে দেখা গিয়েছিল পুজো পাঠ।


করোনাকালের শুরু থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বেলুড় মঠে। দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রেও এর অন্যথা হবে না। পুজোর নির্ঘণ্টপ্রকাশ করে মঠ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, এবারও গতবছরের মতো ওয়েবসাইটে পুজো দেখা যাবে। সেই মতো ভক্তরা ই-মাধ্যমেই পুজো দেখেন।


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কার পর ১৮ অগাস্ট থেকে খোলে বেলুড় মঠ।  তবে কিছু শর্ত মেনেই ঢুকতে পারছিলেন দর্শনার্থীরা। দুটি ডোজের শংসাপত্র বা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটিপিসিআর রিপোর্ট নিয়ে যেতে হচ্ছিল মঠে। পরিচয়পত্রের সঙ্গে টিকাকরণ শংসাপত্র বা আরটিপিসিআর রিপোর্ট  নিয়ে গেলে ঢুকতে পারছিলেন দর্শনার্থীরা। সেইসঙ্গে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধি যেমন, মাস্ক পরা, থার্মাল স্ক্রিনিং, স্যানিটাইজার ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের।


করোনা আবহে দীর্ঘদিন ভক্ত সাধারণের জন্য বন্ধ ছিল মঠ।  তারই মধ্যে, ২৪ জুলাই গুরুপূর্ণিমায় একদিনের জন্য খুলেছিল বেলুড় মঠ। সেদিন করোনা বিধি মেনে মঠে ঢুকতে পেরেছিলেন দর্শনার্থীরা। বিধির কড়াকড়ির মধ্যে বৈদিক মন্ত্র, স্তোত্র পাঠ থেকে ভজন...খামতি ছিল না কোনও কিছুর। সারদা মা, রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দের বাণীও পাঠ করা হয়। তবে তা অবশ্য মঠে বসে শুনতে পারেননি ভক্তরা। সবটাই নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচার করে মঠ কর্তৃপক্ষ। গুরুপূর্ণিমায় মঠ খুললেও গুরুদর্শন অবশ্য হয়নি। প্রেসিডেন্ট মহারাজ ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মহারাজকে দর্শন করতে পারেননি ভক্তরা। ওই দিন সকাল ও বিকেল মিলিয়ে ৫ ঘণ্টা খোলা ছিল মঠ।