ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : আবার অভিনেতার আত্মহত্যার চেষ্টা। আবারও পেশাগত জীবনে হতাশার কথা। আত্মহত্যার চেষ্টার কারণ হিসেবে আবার উঠে আসছে ডিপ্রেসনের কথা। 

'আত্মহত্যার চেষ্টা' করলেন অভিনেতা শৈবাল ভট্টাচার্যর । মাথায় ও ডান পায়ে আঘাত নিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, নিজেকে আঘাত করেন ওই অভিনেতা। মদে আসক্তি ও পেশাগত ডিপ্রেশনের কারণেই আত্মহত্যার চেষ্টা বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।  


গত মে মাসে, প্রথমে পল্লবী দে, তারপর বিদিশা দে মজুমদার , তারপর  মঞ্জুষা নিয়োগী,  ১২ দিনে তিন অভিনেত্রীর মৃত্যু হয় কলকাতায়। সব থেকে আশ্চর্যের, প্রত্যেকটি মৃত্যু এক সুতোয় গাঁথা। গত ১৫ মে, গড়ফার ফ্ল্যাটে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় অভিনেত্রী পল্লবী দে’র।  তারপরই ফেসবুক পোস্টে মডেল অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদার লেখেন, মানে কী এসব, মেনে নিতে পারলাম না পল্লবী দে । এর ঠিক ১০ দিনের মাথায়, নাগেরবাজারের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় মডেল-অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ!  ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিদিশার মৃত্যু কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না। মাকে বারবার সে কথা জানিয়েছিলেন আরেক অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগী।  বিদিশার মৃত্যুর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে, শুক্রবার সকালে, উদ্ধার হয় মঞ্জুষার ঝুলন্ত দেহ। যাকে পরিভাষায় বলে, সুইসাইড কন্টাজিয়ান ও কপিক্যাট সুইসাইড। কী এই সুইসাইড কন্টাজিয়ান? কোনও প্রভাবশালী বা খ্যাতনামা কারও সুইসাইডের পর, তাঁর পেশার মধ্যে সংক্রমিত হয়ে পড়ে আত্মহননের প্রবণতা। তাকেই বলে সুইসাইড কন্টাজিয়ান। আর কপিক্যাট সুইসাইড হল আত্মহত্যার একই পদ্ধতি অনুসরণ।