কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Bengal Recruitment Scam) এই প্রথম সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে টেট-অনুত্তীর্ণ শিক্ষকরা। সূত্রের খবর, রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে ২০১৪-র টেট-অনুত্তীর্ণ অথচ চাকরি করছেন এমন শিক্ষকদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এবার সেই সমস্ত শিক্ষকদের বয়ান রেকর্ড শুরু করেছে সিবিআই (CBI)।


সূত্রের খবর, গত দু’দিনে চার জেলার একাধিক শিক্ষকের বয়ান রেকর্ড হয়েছে। টেট পাস না করেও কীভাবে চাকরি পেলেন? তা জানতেই চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কেউ দাবি করেছেন, সরাসরি যোগাযোগ করেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে। জেলার মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে তৈরি হয়েছিল যোগাযোগ। টেট-অনুত্তীর্ণ শিক্ষকদের একাংশকে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্ফোরক তথ্য মিলেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের।


প্রসঙ্গত, জুন মাসের শেষে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম কোনও চার্জশিট গ্রহণ করল সিবিআই স্পেশাল কোর্ট। কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল ও নীলাদ্রি ঘোষের চার্জশিট গ্রহণ করল আদালত। প্রতারণা, চক্রান্ত, নথি জাল, দুর্নীতি দমন আইনে ৭(এ), ৭(৮) ধারায় চার্জশিট গ্রহণ করা হয়েছিল। ফের সিবিআই তদন্তের ধরণ নিয়ে নির্দেশনামায় ক্ষোভপ্রকাশ করে বিচারক। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্য়ে সাতটি চার্জশিট দিয়েছিল সিবিআই। এর মধ্যে প্রথম কোনও চার্জশিট গতমাসে গ্রহণ করেছিল আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত। এর আগে একাধিক প্রশ্ন তুলে সিবিআইয়ের ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন বিচারক। শুনানি শুরুর আগে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন সিবিআইয়ের দুই ডিআইজি। তারপর চার্জশিট গ্রহণ করেছিলেন তিনি। 


তদন্ত নিয়ে একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়ার পর, অবশেষে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের দেওয়া এই প্রথম কোনও চার্জশিট গ্রহণ করেছিল আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত। বিচারকের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের সিটের প্রধান DIG অশ্বিন সেনভি এবং সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান DIG জয়দেবন। প্রাইমারি টেট, এসএসসির গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম থেকে দ্বাদশ, এই পাঁচটি মামলায় মোট সাতটি চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছিল সিবিআই কিন্তু তার একটিও প্রথমে গ্রহণ করেনি আদালত। তবে গত মাসেই তা তরান্বিত হয়।


আরও পড়ুন, 'দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখেন, কাছেরটা ঝাপসা', মালদাকাণ্ডে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর 


এর আগে দেখা গেছিল, প্রাইমারি টেট মামলায় চার্জশিট জমা নিয়ে বারবার বিচারকের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল এই মামলায় তদন্তকারী অফিসারকে। কেন টাকার বিনিময়ে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের অভিযুক্ত হিসেবে না দেখিয়ে সাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছিল, কেন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে তদন্তকারী অফিসারের থেকে ব্যাখ্যাও চেয়ে পাঠিয়েছিলেন বিচারক।