রুমা পাল, কলকাতা: কমিশন রিপোর্ট চাইতেই ২২০৮ বদলে গেল ৪৮০-এ! কোনও ফর্ম ফেরৎ না আসা বুথের সংখ্যা, একধাক্কায় ১৭২৮ কম । BLO-দের দেওয়া পূর্বের তথ্যে, ২২০৮ টি বুুথের উল্লেখ রয়েছে। জেলা শাসকদের কাছে কমিশন রিপোর্ট পাঠিয়েছিল। এদিকে রিপোর্ট তলবের পরেই বদলে গেল সংখ্যা !

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, চোরাপথে ভারতে, ধূপগুড়িতে এনুমারেশন ফর্ম নিতে গিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও এক বাংলাদেশি !

Continues below advertisement

যেহেতু চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল,  সেখানে ডিইও-র তরফে তথ্য এসেছিল ২২০৮টি বুথে কোনও মৃত, স্থানান্তরিত ভোটার নেই। ওই সব বুথে যত ভোটার এনুমারেশন ফর্ম বিলি হয়েছিল, পূরণ করে সবই জমা হয়েছে। সোমবারই ওই সব জেলার কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ওই সংক্রান্ত রিপোর্ট এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে ২২০৮ সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮০। 

সমস্ত ফর্ম জমা পড়ার তালিকার শীর্ষে ছিল দঃ ২৪ পরগনা! যেটা বারবার প্রশ্ন উঠছিল,  দক্ষিণ ২৪ পরগনা যেটা ছিল, রায়দিঘি ৬৬, কুলপি ৫৮, মগরাহাট ১৫, পাথরপ্রতিমা ২০ টি এরকম বুথ রয়েছে, যেখানে কিন্তু মৃত ভোটার নেই, শিফ্টেড ভোটার নেই, ডুপ্লিকেট ভোটার নেই ! আর এটাই তাৎপর্যপূর্ণ। যেখানে ২২০৮ টি বুথের কথা বলা হচ্ছিল, সেখানে একধাক্কায় ৪৮০ হয়ে গিয়েছে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে যে রিপোর্টটা পাঠানো হল, সেক্ষেত্রে ২২০৮ টি বুথ কীকরে এল ?  

নির্বাচন কমিশনের এই অবাক করা পরিসংখ্য়ান সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়!বিরোধীরা গরমিল-কারচুপির অভিযোগে সরব হয়!বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী  সুকান্ত মজুমদার বলেন,এটা আমাদের পিসির সরকারের ম্য়াজিক। আমাদের যে পিসির সরকার, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সরকার, ওই সমস্ত এলাকায় কেউ মারা যায় না। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের বা AI-এর মাধ্য়মে ২ হাজার ২০৮ জনের গরমিল ধরা পড়ে।এরপর, ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে জেলাশাসকদের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন। আর তারপরই জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের পাঠানো রিপোর্টে সংখ্য়াটা এক লাফে ২ হাজার ২০৮ থেকে কমে হয়ে গেল ৪৮০!নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আরও কমতে পারে এরকম পোলিং স্টেশনের সংখ্যা।  

তাহলে কি কমিশনের চাপ পড়তেই আসল সংখ্য়াটা বেরিয়ে এল? তাহলে কি আগের পরিসংখ্য়ানে গরমিল ছিল? তবে, জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের পাঠানো রিপোর্টেও, শীর্ষস্থানেই রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। মোট ৪৮০টি পোলিং স্টেশনের মধ্যে শুধু দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিতে রয়েছে এমনটি ৬৬ পোলিং স্টেশন। কুলপিতে ৫৮টি , মগরাহাটে ১৫টি , পাথরপ্রতিমায় ২০টি। মূল প্রশ্ন হল, কীভাবে প্রথম ও দ্বিতীয় তালিকার মধ্য়ে এত বিপুল ফারাক হল? নেপথ্য়ে কোন সমীকরণ?