কলকাতা: SIR-এর পর খসড়া তালিকায় পশ্চিমবঙ্গে বাদ পড়তে পারে ৫৫ লক্ষেরও বেশি নাম। এখনও পর্যন্ত জমা পড়েনি ৫৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫৪১টি এনুমারেশন ফর্ম।তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে জানাল নির্বাচন কমিশন । 

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, দিল্লি থেকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার পর ৫ মাসের বেশি জেলে কাটিয়েছেন, অবশেষে ভারতে ফিরলেন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবি

Continues below advertisement

এখনও পর্যন্ত মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৩ লক্ষ ৭১ হাজার ২৩৯, জানাল কমিশন

এখনও পর্যন্ত মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৩ লক্ষ ৭১ হাজার ২৩৯, জানাল কমিশন। স্থানান্তরিত ভোটার ১৯ লক্ষ ৮ হাজার ২৩৩, ডাবল এন্ট্রি ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৩২৯। পশ্চিমবঙ্গে খোঁজ মেলেনি ১০ লক্ষ ১৫ হাজার ১২২ জন ভোটারের। অন্যান্য ৩৮ হাজার ৬১৮ জন, জানাল নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত কোনও যোগ্য নাগরিক যেন বাদ না পড়েন, আর কোনও অযোগ্য ব্যক্তি যেন ভোটার তালিকায় থেকে না যান। এটা নিশ্চিত করতেই SIR হচ্ছে। নির্ভুল, জালিয়াতিমুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করাই SIR-এর লক্ষ্য। কিন্তু, নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ কি দিনে দিনে রাজনীতির খেলায় পরিণত হচ্ছে? এই প্রশ্ন উঠছে কারণ, শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, ছাব্বিশ থেকে আঠাশে নভেম্বর, এই তিন দিনে রাতারাতি ১ কোটি ২৫ লক্ষ নাম এন্ট্রি করা হয়েছে। আর ফিরহাদ হাকিম বলছেন, 'ব্লক কে ব্লক উধাও হয়ে গেছে, ইলেকশন কমিশন এখন ম্যাজিশিয়ান হয়ে গেছে। বাড়ি সমেত ভ্যানিশ করে দিচ্ছে।'...নাম ঢোকানো, বা বাদ দেওয়া নিয়ে এই রাজনীতি কেন? প্রশ্ন উঠেছে।

দু-হাজার দুই সালে আমাদের দেশে সপ্তম এবং শেষ SIR হয়েছিল, তাতে পশ্চিমবঙ্গের ভোটার কমেছিল উনসত্তর লক্ষ

দু-হাজার দুই সালে আমাদের দেশে সপ্তম এবং শেষ SIR হয়েছিল। SIR-এর প্রক্রিয়ায়, দুহাজার দু'সালের চৌঠা ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়েছিল এরাজ্যের খসড়া ভোটার তালিকা। তাতে পশ্চিমবঙ্গের ভোটার কমেছিল উনসত্তর লক্ষ। পঞ্চাশ লক্ষ ভোটারকে তাঁদের ঠিকানায় খুঁজে পাওয়া যায়নি, হয় ভুয়ো নাম ছিল, নয়তো তাঁরা স্থানান্তরিত হয়েছিলেন। আর উনিশ লক্ষ ভোটার মারা গেছিলেন।  শেষপর্যন্ত, SIR-এর চূড়ান্ত পর্যায়ে ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল চার কোটি আটান্ন লক্ষ। সংশোধনের আগে যে সংখ্যাটা ছিল, চার কোটি বিরাশি লক্ষ। অর্থাৎ বাদ পড়েছিল চব্বিশ লক্ষ। সেটাকে স্বাগত জানিয়েছিল তৃণমূল। তাহলে আজ কেন এই পরিবর্তন? প্রশ্ন উঠেছে।